প্রথম আলোর প্রপাগাণ্ডা মিশন ও আনিসুল হকের ভাওতা বাজি ‼️
শুরুতেই একটা প্যারা কোড করছি,
❝মেয়েদের কথা শুনতে হবে। ধোঁয়া থাকলে অবশ্যই আগুন আছে। আগুন না নিভিয়ে ধোঁয়া তাড়ানোর জন্য বাতাস করে লাভ নেই। বাটলারের যে সমস্যা আছে, সাফ টুর্নামেন্ট থেকেই তা স্পষ্ট। মেয়েদের যদি সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য কাউন্সেলর দিন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা, বাইরে থেকে, সমাধানের উপায় বাতলে দেব না। কিন্তু আমরা দেখতে চাই, আমাদের সিনিয়র মেয়েরা হাসিমুখে মাঠে ফিরেছেন।❞
এখানে শেষের লাইনটা খেয়াল করুন উনি সরাসরি বলছেন সিনিয়র মেয়েদের ফেরাতে হবে। কেন?? কিসের ভিত্তিতে??
প্রথমেই এই সিনিয়র সিন্ডিকেট নিয়ে কিছু কথা বলে রাখি,
⭕ বসুন্ধরা কিংস নারী দল গঠন থেকে সরে আসে মূলত এই সিনিয়র সিন্ডিকেট এর অত্যাধিক টাকা দাবি করার প্রেক্ষিতে। ( গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মাথায় রাখবেন)
⭕ মূলত নারী দলের ৭ জন খেলোয়াড় পারফরম্যান্স বিবেচনায় দল থেকে বাদ পড়তেন। সেই সাত ফুটবলার হলেন—সাবিনা, মাসুরা, মারিয়া, কৃষ্ণা রানী, সানজিদা , নিলুফা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। [তথ্যসূত্র - কালের কন্ঠ]
⭕ এই সাতজন খেলোয়াড় বাকি ১১ জনকে সাথে নিয়ে দলভারী করে বাটলার এর বিপক্ষে লেগেছে কিছু ফাউল এলিগেশন এনে। কিছু পত্রিকার বরাদ দিয়ে জানা যাচ্ছে "পল স্মলি " অথবা "ছোটন " কে কোচ হিসেবে চাচ্ছে সিনিয়র সিন্ডিকেট এর একটা অংশ।
⭕ পিটার বাটলার এর ভিষন মূলত এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করা ও বাংলাদেশ দলটা যেন এশিয়ান লেভেলে কম্পিট করার মত যোগ্য তা অর্জন করে সে লক্ষ্যে কাজ করা। এজন্য তিনি কিছু সিনিয়র সিন্ডিকেট এর খেলোয়াড় বসিয়ে নতুনদের বাজিয়ে দেখসেন। এতেই গেল গেল রব উঠেছে এই নারী ফুটবলার দের ভেতর
⭕ কোচের ডিসিশন এ অযাচিত হস্তক্ষেপ, ফেসবুক টিকটকে আসক্তি, বেপরোয়া জীবন ও অল্পতে অধিক কিছু পেয়ে যাওয়া এই নারী দলের সিন্ডিকেট এর খেলোয়াড় রা নোংরামি করতেও দ্বিধা করছেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বলা কিছু অশ্লীল কমেন্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। যা এরকম প্রফেশনাল ফুটবলার থেকে কখনোই কাম্য নয়।
এখন সিম্প আনিসুল হক ঠিক কিসের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট লিখলেন? তিনি কি এসব জানেন না? নাকি নারীর কান্না দেখলেই চেতনা কাজ করে? তারা গরীব ছিল, ভাত খেতে পারত না এখন নোংরামি করলেও মেনে নিতে হবে? দুইবার সাফ জিতাইসে? সিরিয়াসলি? এই সাফ কেও গোনে? এই নারী দলের সাফল্য যে পুরাটা স্ক্যাম তা এই বাটলার এক্সপোস করে দিচ্ছিল। তুলনামূলক শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে দেন এদের হালি যদি না খাইসে। মিডিয়ায় এসে সাবিনা কয় প্রমান করার কিছু নাই। দুইটা সাফ জিতে প্রমানের কিছু নাই? এত ছোটলোক মেন্টালিটি নিয়ে ঘুমায় কেমনে এরা??
সুতরাং প্রথম আলো সাবধান। প্রপাগাণ্ডা চালায়া এই সিনিয়র সিন্ডিকেট বাচাইতে পারবেন না। সাবধান।
লিখা- আদিব নাশিদ ( একজন ক্ষুদ্র সমর্থক)