বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহ - Constitutional institutions of Bangladesh

Muhammad Jamal Uddin
0


বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহ - Constitutional institutions of Bangladesh




বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। যেসব প্রতিষ্ঠান সংবিধানের সুস্পষ্ট বিধি মোতাবেক নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে তাদের কার্য পরিচালনা করতে পারে তাদেরকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সংহতি অক্ষুণ্ণ রাখে এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় সুদৃঢ় ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশ সংবিধানিক সংস্থা ৪টি।

নিন্মে সংবিধানিক সংস্থাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

 

১.   ১৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্ম কমিশন,

২.   ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন,

৩.  ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং

৪.  ১২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক গঠন করা হয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বেতন, ভাতা, কর্মের শর্ত কার্যকাল সাংবিধানিকভাবে নির্ধারিত। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীন নিরপেক্ষ থাকে। অধ্যায়ে ৪টি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় সংসদ প্রণীত আইন অনুযায়ী গঠন করা হয়।

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন

 (Bangladesh Public Service Commission)

আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার কাঠামোয় দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর গুরুত্ব সর্বজনস্বীকৃত। জন্য বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রে মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়া লক্ষ করা যায়। মেধা যাচাই করার জন্য প্রয়োজন যোগ্যতাসম্পন্ন তীক্ষ্ণ ধীশক্তি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা হবে মুখ্য এবং অন্য সবকিছু গৌণ। বাংলাদেশে মেধাসম্পন্ন যোগ্য সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী বাছাই করার জন্য ১৯৭২ সালের এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সরকারি কর্ম কমিশন আদেশ জারি করেন। আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি (প্রথম) কর্ম কমিশন বাংলাদেশ সরকারি (দ্বিতীয়) কর্ম কমিশন নামে দুটি কমিশন গঠিত হয়। প্রথম কর্ম কমিশনের প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের বাছাই, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্ব ছিল। দ্বিতীয় কর্ম কমিশনের দায়িত্ব ছিল তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাছাই, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি অন্য বিষয়াদি সম্পর্কিত। ১৯৭৭ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির ৫৭ নং আদেশ। বলে দুটি কর্ম কমিশনের পরিবর্তে একটি কমিশন গঠন করা হয়। নবগঠিত এই কমিশনের নাম হয় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission) ১৯৭৭ সালের ২২ ডিসেম্বর এই আদেশ কার্যকর হয় এবং এখন পর্যন্ত একটি কর্ম কমিশন বিদ্যমান রয়েছে।

 

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের গঠন

বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন সভাপতি আইনের দ্বারা সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হবে।

 

 

সরকারি কর্ম কমিশনের ভূমিকা কার্যাবলি

(Role & Functions of the Public Service Commission)

 

সংবিধানের ১৪০ ১৪১ অনুচ্ছেদে কর্ম কমিশনের কার্যাবলি সম্পর্কে বিধানাবলি সন্নিবেশিত আছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যাবলি দায়িত্ব নিম্নরূপ:

. প্রজাতন্ত্রের কাজে দক্ষ উপযুক্ত কর্মচারী নিয়োগের উদ্দেশ্যে যাচাই পরীক্ষা পরিচালনা। যেমন:

i. প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা (Preliminary test)

ii. লিখিত পরীক্ষা (Written test)

iii. মৌখিক পরীক্ষা (Viva voce)

iv. ডাক্তারি পরীক্ষা (Medical test)

v. পুলিশি তদন্ত (Police Verification)

. রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে পরামর্শ চাইলে বা কমিশনের দায়িত্ব সম্পর্কে কোনো বিষয় কমিশনের নিকট প্রেরণ করা হলে সে সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে উপদেশ প্রদান করবেন।

. কর্ম কমিশন প্রতিবছর মার্চ মাসের প্রথম দিবসে বা তার পূর্বে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমস্ত এক বছরের স্বীয় কার্যাবলি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রস্তুত করবে এবং তা রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করবে। রিপোর্টের সাথে একটি স্মারকলিপি থাকবে এবং স্মারকলিপিতে নিম্নোক্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যথা: . কোনো ক্ষেত্রে কমিশনের কোনো পরামর্শ গৃহীত না হলে তার কারণ এবং . যে সকল ক্ষেত্রে কমিশনের সাথে পরামর্শ করা উচিত ছিল অথচ করা হয়নি সেক্ষেত্রে পরামর্শ না করা সম্বন্ধে কমিশন যতটুকু অবগত ততটুকু লিপিবদ্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি উক্ত রিপোর্ট স্মারকলিপি জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন।

. আইনের দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন। রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে কমিশনের সাথে পরামর্শ করবেন: . প্রজাতন্ত্রের কর্মের জন্য যোগ্যতা এবং উক্ত কর্মে নিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কিত বিষয়াদি, . প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদান, পদোন্নতি এবং উক্ত কর্মের এক শাখা হতে অপর শাখায় স্থানান্তর বদলিকরণ এবং এর জন্য প্রার্থীর উপযোগিতা নির্ণয় সম্পর্কে অনুসরণীয় নীতি বিষয়াদি; , প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যকাল, চাকরির শর্তাবলি এবং অবসর ভাতা সম্পর্কিত বিষয়াদি; এবং . প্রজাতন্ত্রের কর্মের শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিষয়াদি।



                    সরকারি সর্ম কমিশন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে

 

নির্বাচন কমিশনের গঠন

(Formation of Election Commission)

সংবিধানের ১১৮ ()অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে এবং রাষ্ট্রপতি সময়ে সময়ে যেরূপ নির্দেশ করবেন, সেরূপ সংখ্যক অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপ্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করবেন।

 

 নির্বাচন কমিশনের গঠন, মেয়াদ পদচ্যুতি সম্পর্কিত যে সমস্ত বিধানাবলি:

. একাধিক নির্বাচন কমিশনার নিয়ে কমিশন গঠিত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার সভাপতিরূপে কাজ করবেন। সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো নির্বাচন কমিশনারের পদের মেয়াদ তাঁর কার্যভার গ্রহণের তারিখ হতে পাঁচ বছর হবে।

.কর্মে নিয়োগলাভের যোগ্য হবেন না। . অন্য কোনো নির্বাচন কমিশনার অনুরূপ পদে কর্মাবসানের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনাররূপে নিয়োগলাভের যোগ্য হবেন, তবে অন্য কোনোভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। . সংসদ

. নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল এই সংবিধান আইনের অধীন হবেন। কর্তৃক প্রণীত যেকোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনারদের কর্মের শর্তাবলি রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ধারণ করবেন সেরূপ হবে। তবে শর্ত থাকে যে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যেরূপ পদ্ধতি কারণে অপসারিত হতে পারেন, সেরূপ পদ্ধতি কারণ ব্যতীত কোনো নির্বাচন কমিশনার অপসারিত হবেন না।

. কোনো নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন।

 

 

 

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কার্যাবলি

(Role and Functions of Election Commission)

 

সংবিধানের ১১৯ () নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদের সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং

নির্বাচন কমিশন এই সংবিধান আইনানুযায়ী-

 

 . রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।

. সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন।

. সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবেন, এবং

. রাষ্ট্রপতি পদের এবং সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবেন।

 


                নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন

 

অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General)

সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রে একজন অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগদান করবেন। রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক অন্যান্য ভাতাদি পাবেন। তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট লিখিত স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। অবশ্য শাসনতান্ত্রিক বিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের যে পদ্ধতিতে অপসারণ করা যায়, অ্যাটর্নি জেনারেলকেও সেই পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারণ করা সম্ভব। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি এবং তিনি সেই অনুযায়ী উক্ত পদের জন্য দায়িত্ব সম্পাদন করেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশাপাশি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলও রয়েছেন।

 

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলগণ বাংলাদেশ অফিসাম অর্ডার, ১৯৭২ (১৯৭২ সালের নং পি.) দ্বারা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে থাকেন। তাদের চাকরি যথাক্রমে অ্যাটরি -জেনারেল (চাকরির মেয়াদ এবং শর্তাবলি) রুলস, ১৯৭৩ এবং অফিসার্স (চাকরির মেয়াদ এবং শর্তাবলি) বুলস, ১৯৭৩ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। বর্তমানে জন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ৩৭ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, ৭৯ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রয়েছে।

 

 

 

 

অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যাবলি দায়িত্ব (Functions & Role of Attorney General)

সংবিধান অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেলের ভূমিকা কার্যাবলি নিম্নরূপ:

. অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।

. অ্যাটর্নি জেনারেল দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের সকল আদালতে তার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন।

. অ্যাটর্নি জেনারেল প্রজাতন্ত্রের পক্ষে আইনের জটিল প্রশ্নে মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।

. বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদানুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বিষয়সমূহে মতামত প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং এক্ষেত্রে তিনি তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারেন।



                                অ্যাটর্নি জেনারেল সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন

 

 

মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতা এবং কার্যাবলি

Power & Functions of the Comptroller and Auditor General of Bangladesh

বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১২৭ নং অনুচ্ছেদ হতে ১৩২ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রের মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রকের পদ, কর্মের মেয়াদ দায়িত্বের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ১২৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে একজন মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক থাকবেন এবং তাকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন। সংসদের আইন অনুযায়ী তার কার্যের শর্তাবলি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত হবে। তিনি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি যে পদ্ধতিতে যে কারণে অপসারিত হয়ে থাকেন, সেরূপ পদ্ধতি ব্যতীত মহাহিসাব নিরীক্ষক অপসারিত হবেন না। তিনি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে স্বীয় স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। কর্মাবস্থানের পর তিনি প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

 

 

 

মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রকের কার্যাবলি দায়িত্ব

Functions & Responsibilities of Comptroller & Auditor General

সংবিধানের ১২৮ নং অনুচ্ছেদে মহাহিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব কার্যাবলির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। নিচে এগুলোর উল্লেখ করা হলো:

. মহাহিসাব নিরীক্ষক প্রজাতন্ত্রের সরকারি হিসাব এবং সকল আদালত, সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মচারীর সরকারি হিসাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং অনুরূপ হিসাব সম্পর্কে রিপোর্ট প্রদান করবেন।

. মহাহিসাব নিরীক্ষক সকল সরকারি নথিপত্র, বই, রসিদ, দলিল, নগদ, অর্থ, স্ট্যাম্প, জামিন বা সরকারি সম্পত্তি পরীক্ষা করবেন এবং রিপোর্ট দেবেন।

. সংসদের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যেকোনো যৌথ সংস্থার হিসাব মহাহিসাব নিরীক্ষক নিরীক্ষা করবেন এবং অনুরূপ হিসাব সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন।

সংসদ আইনের দ্বারা মহাহিসাব নিরীক্ষকের ওপর যে সকল দায়িত্ব অর্পণ করবে সে সকল দায়িত্ব তিনি সম্পন্ন করবেন।রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে মহাহিসাব নিরীক্ষক যেরূপ নির্ধারণ করবেন সেভাবে পদ্ধতিতে প্রজাতন্ত্রের হিসাব

রক্ষিত হবে। . প্রজাতন্ত্রের হিসাব সম্পর্কিত রিপোর্ট 'মহাহিসাব নিরীক্ষকের রিপোর্ট' নামে অভিহিত হবে এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক রিপোর্টটি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করবেন। রাষ্ট্রপতি

রিপোর্টটি সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। উপর্যুক্ত দায়িত্বসমূহ পালনের ক্ষেত্রে মহাহিসাব নিরীক্ষককে অন্য কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের অধীনস্থ করা হবে না।

                        

                            মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!