৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান।পর্ব-২।Class 7 Science Annual Assignment Answer

Muhammad Jamal Uddin
0

৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান।পর্ব-২।Class 7 Science Annual Assignment Answer


ধাপ (দ্বিতীয় কর্মদিবস: ৯০ মিনিট)

. দ্বিতীয় সেশনের আগে প্রতিটি দলের সদস্যরা সবচেয়ে প্রচলিত এমন তিনটি যানবাহনের গঠন কাজ পর্যালোচনা করবে। সেজন্য কাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে তা তারাই নির্ধারণ করবে এবং দ্বিতীয় সেশনের আগে সেই তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।

. সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে কথা বলে তারা কয়েক ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবে:

. এই যানবাহনগুলোর গঠন কেমন?

(শিক্ষার্থীরা মোটাদাগে এদের গঠন বোঝার চেষ্টা করবে, এবং মূল যন্ত্রাংশগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে। তবে খুব বিস্তারিতভাবে-যেমন, মোটর কীভাবে কাজ করে এরকম জটিল আলোচনার প্রয়োজন নেই।)

. এই যানবাহনগুলো কীভাবে কাজ করে?

. এগুলোর কোনটার ক্ষেত্রে কী ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হয় এবং তার পরিমাণ কী?

কী ধরনের বর্জ্য উৎপন্ন হয়?

. দ্বিতীয় সেশনের শুরুর ৩০ মিনিট তারা তাদের নির্বাচিত তিনটি যানবাহনের যানবাহনের নকশা এঁকে নিতে পারে, বা মডেল তৈরি করতে পারে। এরপর বাকি সময়ে তারা নকশা/মডেল উপস্থাপনেরপাশাপাশি এগুলো কাভাবে কাজ করে তার ওপর দলীয় উপস্থাপন করবে। উপস্থাপনের সময়এগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানির পরিমাণ এবং উৎপন্ন বর্জ্য উল্লেখ করবে। এসব যানবাহন কীভাবে কাজ করে এবং এই প্রক্রিয়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তির রূপান্তর ঘটে হয় তা তারা ব্যাখ্যা করবে।

উপস্থাপনের উপর ভিত্তি করে PI (.., .. ..) এর ইনপুট দেবেন, এই ক্ষেত্রে দলের পি আই ইনপুট একই হবে।


=================================================================================================================================================================================



 এখন প্রতিটি দলের সদস্যরা সবচেয়ে প্রচলিত এমন তিনটি যানবাহনের গঠন  কাজ পর্যালোচনা করবে।

রিক্সা :

গঠন: রিক্সার গঠন কাঠামো সরলপৃকতির। এর সামনে রয়েছে একটি চাকা এবং পিছনে রয়েছে দুইটি চাকা। রিক্সায় যাত্রী বসার জন্য আসন থাকে এবং রোদ, বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য উপরে প্লাস্টিকের ছাদ দেওয়া থাকে। সামনের চাকার সাথে সাইকেলের হ্যান্ডেল সংযুক্ত থাকে। পিছনের চাকা দুটি একটি হুইল দ্বারা যুক্ত থাকে। হুলের মাঝখানে একটি ছোট গিয়ার এবং সামনের দিকে একটি বড় গিয়ার থাকে। গিয়ার দুটি চেইনের সাহায্যে সংযুক্ত থাকে। বড় গিয়ারের সাথে প্যাডেল যুক্ত থাকে।



রিক্সা যেভাবে কাজ করে: রিক্সা একটি মানব চালিত যান। রিক্সার প্যাডেলে সামনের দিকে বল প্রয়োগ করলে এর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে পিছনের গিয়ারের উপর বল প্রয়োগ করে, পিছনের গিয়ার প্যাডেলের দিকে কার্যকর হয়ে পিছনের চাকাকে ঘুরায় ফলে রিক্সা সামনের দিকে যায়।


জ্বালানির পরিমাণ: রিক্সা একটি মানব চালিত যান হওয়ায় এর কোনো প্রকার জ্বালানির প্রয়োজন নেই।

বর্জ্য উৎপন্ন: রিক্সা পরিবেশ বান্ধব যান হওয়ায়; এটি পরিবেশকে দূষিত করে ন।


প্রাইভেট কার

গঠন: প্রাইভেট কার মূলত চার চাকার বাহন। এর সামনে থাকে দুইটি চাকা এবং পিছনে থাকে দুইটি চাকা। প্রাইভেট কারের দেওয়াল, দরজা এবং ছাদ লোহার পাত দিয়ে মোড়ানো থাকে। জানালাগুলো হয় কাঁচের। ড্রাইভারের আসনের সামনে স্টিয়ারিং, গিয়ার ব্রেক থাকে। ড্রাইভারের মাথার উপর একটি আয়না থাকে যা দিয়ে পিছনে কোনো দ্রুতগামী গাড়ি আসছে কিনা দেখা যায়। গাড়ির দুই পাশে আরও দুটি আয়না থাকে যা দিয়ে ডানের বামের গাড়িগুলোকে দেখা যায়। গাড়ির সামনের দুইপাশে দুইটি লাইট এবং মাঝখানে একটি মেইন লাইট থাকে। এর পেছনে রয়েছে দুইটি লাইট। গাড়ির সাইজ অনুসারে ভিতরে যাত্রীদের জন্য সিট থাকে।




প্রাইভেট যেভাবে কাজ করে: প্রাইভেট কার একটি ইঞ্জিন চালিত যানবাহন। এটি চালানোর জন্য ডিজেল গ্যাস ব্যবহার করা হয়। ডিজেল গ্যাসে রাসায়নিক শক্তি জমা থাকে, বাসের ইঞ্জিনে পিস্টন থাকে, এই পিস্টন যখন দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে তখন ডিজেল ও গ্যাসে থাকা রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই তাপশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তিরত হয়ে বাস চলতে শুরু করে।


জ্বালানির পরিমাণ: / কিলোমিটার যেতে লিটার তেল প্রয়োজন

বর্জ্য উৎপন্ন: কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস, কার্বন-মনোঅক্সাইড গ্যাস এবং পোড়া মবিল।



বাস

গঠন: বাস মূলত ছয় চাকার বাহন। এর সামনে থাকে দুইটি চাকা এবং পিছনে থাকে চারটি চাকা। পিছনের চাকাগুলো জোড়ায় জোড়ায় থাকে। বাসের দেওয়াল, দরজা এবং ছাদ লোহার পাত দিয়ে মোড়ানো থাকে। জানালাগুলো হয় কাঁচের। ড্রাইভারের আসনের সামনে স্টিয়ারিং, গিয়ার ব্রেক থাকে। ড্রাইভারের মাথার উপর একটি আয়না থাকে যা দিয়ে পিছনে কোনো দ্রুতগামী গাড়ি আসছে কিনা দেখা যায়। গাড়ির দুই পাশে আরও দুটি আয়না থাকে যা দিয়ে ডানের বামের গাড়িগুলোকে দেখা যায়। গাড়ির সামনে থাকে ৪টি লাইট এবং পিছনে থাকে ২টি লাইট। গাড়ির সাইজ অনুসারে ভিতরে যাত্রীদের জন্য সিট থাকে।




বাস যেভাবে কাজ করে: বাস একটি ইঞ্জিন চালিত যানবাহন। এটি চালানোর জন্য ডিজেল গ্যাস ব্যবহার করা হয়। ডিজেল গ্যাসে রাসায়নিক শক্তি জমা থাকে, বাসের ইঞ্জিনে পিস্টন থাকে, এই পিস্টন যখন দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে তখন ডিজেল গ্যাসে থাকা রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই তাপশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তিরত হয়ে বাস চলতে শুরু করে।



জ্বালানির পরিমাণ: ৬/৭ কিলোমিটার যেতে ১ লিটার তেল প্রয়োজন

বর্জ্য উৎপন্ন: কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস, কার্বন-মনোঅক্সাইড গ্যাস এবং পোড়া মবিল।



যানবাহনের গড় গতির হার, দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ:

রিক্সার গতি: রিক্সার গতিবেগ ঘন্টায় ১২-১৪ কিলোমিটার হয়ে থাকে।

দুর্ঘটনা: দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

ক্ষয়ক্ষতি: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নেই বললেই চলে।


প্রাইভেট কারের গতি: প্রাইভেট কাররের গতিবেগ ঘন্টায় ৬০-১৩০ কিলোমিটার হয়ে থাকে।

দুর্ঘটনা: দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!