৭ম শ্রেণির বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান | ছক-খ | Class 7 Bangla Annual Assignment Answer

Muhammad Jamal Uddin
0

 প্রিয় শিক্ষার্থী আজকে তোমাদের জন্য ৭ম শ্রেণির বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান | ছক-খ এর সমাধান নিয়ে এসেছি। আশা করি তোমাদের সামষ্টিক মূল্যায়নে কাজে আসবে। 


৭ম শ্রেণির বাংলা বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান | ছক-খ | Class 7 Bangla Annual Assignment Answer


খ.করেনাকালীন শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন :

কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে নিয়ে এসেছে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। লাখলাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। এবং কর্মহীন হয়ে পড়ছে। করোনাকালীন দুই বছর বিশ্বের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানুষ দরিদ্রতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনার কারণে যেসব ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম শিক্ষাখাত । সারাবিশ্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরে ছিল। তবে পাঠ্যবই থেকে দূরে থাকলেও মজার একটি বিষয় হচ্ছে, করোনাকালীন সময়ে এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়; যা বেশ ইতিবাচক। কিশোরগঞ্জে পলাশডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপরএকটি জরিপ করে দেখা যায় যে, করোনা মহামারীর এই সময়ে তারা সর্বাধিক সংখ্যক বই পড়েছে। মিনু চাকমা নামে এক শিক্ষার্থী দুই বছরে প্রায় ১২২টি বই পড়েছে। অপরদিকে তার সহপাঠী পূরবী সরকার ৭৫টি বই পড়া সম্পন্ন করেছে। মিনু চাকমা ভ্রমণ বিষয়ক বই পড়তে বেশি পছন্দ করে। তাই তার পঠিত এসব বইয়ের মধ্যে ভ্রমণ সংক্রান্ত বই-ই বেশি ছিল।

অন্যদিকে একই শ্রেণিতে পড়ুয়া অবস্তি রচনা প্রায় ১১২টি বই পড়েছে করোনাকালীন সময়ে। তার কাছে অবসর সময়ে বই পড়তে বেশ দারুণ লেগেছে। আর করোনায় যেহেতু সে অফুরন্ত সময় পেয়েছে, তাই তার হাতে শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের বাইরেও একাধিক বই পড়ার সুযোগ ছিল। মাহমুদনামে আরেক শিক্ষার্থী ৮৮টি বই সম্পন্ন করেছে। অপরদিকে দিতি রাণী দেও পড়েছে প্রায় ১০৯টি বই। প্রবাল কুমার ৯৪টি এবং নাজমিন নামের এক শিক্ষার্থী ১০২টি বই পড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। দশম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী আমজাদ আহমেদ প্রায় ১১৯টি বই পড়েছে, যা বেশ ইতিবাচক।

তবে কোভিড-১৯ চলমান সময়ে বইয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখা গেলেও কোভিড পরবর্তী সময়ে ঠিক তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হয়। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনু চাকমা, যে কিনা করোনাকালীন সময়ে ১২২টি বই পড়েছিল, করোনা পরবর্তী সময়ে দুই বছরে সে ৯৬টি বই পাঠকরে। যা আশঙ্কাজনক কম। অপরদিকে পূরবী সরকারও ৫২টি বই পড়ে, যা ছিল বিগত দুই বছরের তুলনায় ২৩টি কম। একই শ্রেণির অবস্তি রচনারও পড়া বইয়ের পরিমাণ কমে ৯১টিতে দাঁড়ায়। মাহমুদ পড়ে ৫৪টি, দিতি রাণী দে পড়ে ৯০টি। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রবাল কুমার, নাজমিন ও আমজাদ যথাক্রমে ৫৬টি, ৮৪টি এবং ৯২টি বই পড়ে যা পূর্বের দুই বছরের তুলনায় অনেক কম। এসব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পড়ার জন্য গল্প-কবিতা, ইতিহাস, ভ্রমণ কাহিনী, কল্পবিজ্ঞান এবং ধর্মীয় বইগুলো বেশি পছন্দ করেছে। তাই করোনাকালীন সময়ে তারা এ সংক্রান্ত প্রচুর বই পড়েছে। অপরদিকে করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় তারা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অতিরিক্ত বই পড়ার পর্যাপ্ত সময় পায়নি। হোমওয়ার্ক, পরীক্ষা এবং অন্যান্য শ্রেণিভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য তাদের বই পড়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।

 


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!