প্রথম দিবস: (৯০ মিনিট)
প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিযোগিতামন্ত্রক কাড়ি/ফেটবল/মোড়গ লড়াই খেলায় অংশগ্রহণ করবে।
** যেসব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই সেখানে হলরুম/বড় শ্রেণিকক্ষে খেলার কোর্ট এঁকে কম সংখ্যক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে খেলা অনুষ্ঠিত হতে পারে।
** প্রতিবন্ধীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অন্য সবার সাথে একইভাবে খেলায় অংশগ্রহণ করতে করবে। সে ক্ষেত্রে সবাই মিলে
খেলার জন্য খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দিয়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
** প্রতিক্ষীতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকলে যে কোনো খেলার আয়োজন করা যেতে পারে যাতে শারীরিক কসরত ও উপভোগের এর সুযোগ থাকে।
প্রথম দিবস মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতি:
• মূল্যায়নের প্রথম দিনে খেলায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে দলে ভাগ করার জন্য একটি পরিকল্পনা করে রাখবেন।
• কাবাডি/ফুটবল/মোড়গ লড়াই খেলার সরঞ্জামসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
• আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে এমন ১/২ জন শিক্ষককে আগে থেকে বলে রাখতে পারেন।
ফুটবল
এটা বাংলাদশে
অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল খেলার মধ্য দিয়েই শারীরিক কমদক্ষতা, আত্মবশ্বিাস, দলীয়
একাত্মবোধ, পরস্পর সহযোগিতা, নেতৃত্বদান প্রভৃতি গুণ অর্জিত হয়। আমরা ফুটবল খেলার সাধারণ
নিয়ম কানুন জানব এবং খেলব।
খেলোয়াড়ের
সংখ্যা: প্রতি দলে ১১ জন।
খেলার সময়:
৪৫ মিনিট +১৫ মিনিট+ ৪৫ মিনিট। ক্লাস সিক্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই সময় কম হতে পারে।
যেমন ১০ মিনিট+ ৫ মিনিট+ ১০ মিনিট।
খেলা পরিচালনাকারীর
সংখ্যা: একজন রেফারি। দুইজন সহকারি রেফারি। একজন চতুর্থ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন
করে থাকে।
কাবাডি
প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে কাবাডি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এটি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
খেলার মাঠ: কাবাডি খেলার মাঠ সমতল ও আয়তকার হতে হবে।
খেলোয়াড়ের সংখ্যা: প্রতিদলে ৭ জন খেলোয়াড়
খেলার সময়: বড়দের জন্য ৪০ মিনিট। ২০ মিনিট খেলার পর ৫ মিনিট
বিরতি দিয়ে আবার ২০ মিনিট খেলা। ছোটদের জন্য ৩০ মিনিট। ১৫ মিনিট খেলার পর ৫মিনিট বিরতি
দিয়ে ১৫ মিনিট খেলা।
খেলার বিবরণ: মধ্য রেখা থেকে দম নিয়ে কাবাডি, কাবাডি শব্দ উচ্চারণ
করতে করতে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে স্পর্শ করে এক নিঃশ্বাসে নিরাপদে নিজের কোর্টে ফিরে
আসতে পারলে যাকে স্পর্শ করা হয়েছে, সে বা তারা আউট হবে। এভাবে যতজন আউট হবে তাদের প্রত্যেকের
জন্য এক পয়েন্ট পাওয়া যাবে। কোনো আক্রমণকারী বিপক্ষ দলের কোর্টে দম হারালে এবং বিপক্ষ
দলের কেউ ধরে রাখতে পারলে সে আক্রমণকারী আউট বলে গণ্য হবে।
মোরগ লড়াই
খেলার স্থান: খেলার মাঠ
খেলার সরঞ্জাম: চুন/প্লাষ্টিক কোণ/মার্কার
খেলা পরিচালনাকারীর সংখ্যা: একজন
খেলার বিবরণ: একটা গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে হবে চুনের গুড়া দিয়ে। সব খেলোয়াড়রা মাঝখানে থাকবে। সবাই বামহাত দিয়ে বাম পা অথবা ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের গোড়ালি ধরবে। অপর হাত পিছন দিক দিয়ে অন্য হাত ধরবে। পরিচালনাকারী বাঁশি বাজানোর মাধ্যমে লাফিয়ে লাফিয়ে লড়াই শুরু করবে। যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে সে জয়ী হবে। পিছন দিক থেকে আক্রমণ করা যাবেনা। প্রয়োজনে ছেলে-মেয়ে আলাদা আলাদা করে খেলবে। যারা খেলবে না তারা খেলাটি পরিচালনার কাজ করবে।