দ্বিতীয় দিবস: (৯০ মিনিট)
মূল্যায়নের প্রথম দিনে তারা যে খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল তা মনে করে নিম্নে
উল্লেখিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে নিজেদের
উপলব্ধি থেকে একটি প্রতিফলনমূলক প্রতিবেদন/পেপার তৈরি করবে।
. সুস্বাস্থ্যে (শরীর ও মনে) কীভাবে প্রভাব ফেলে বলে মনে করছে
. অংশগ্রহণের আগে, খেলার সময়
. শেষে তার অভিজ্ঞতা কেমন লেগেছে,
কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তার কারণ, সমস্যা হলে কী পদক্ষেপ নিয়েছে,
. কারও সহযোগিতা চেয়েছে কি না, অন্য কেউ সহযোগিতা করেছে কি না,
. অন্যের প্রতি তার নিজের ইতিবাচক ও নেতিবাচক কী কী আচরণ করেছে ।
খেলাধুলা শিক্ষা কার্যক্রমের একটি অংশ। শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য খেলাধুলা করা প্রয়োজন। খেলাধুলা মানুষের ভেতরে একটি প্রশান্তি এনে দেয়, এনে দেয় ভারসাম্যও। খেলাধুলা শরীর ও মন উভয়ের ওপরই গভীর প্রভাব ফেলে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
শারীরিক
স্বাস্থ্য:
কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য: খেলাধুলায় প্রায়ই শারীরিক কার্যকলাপ জড়িত থাকে, যা
হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে, রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।
পেশী বিকাশ: খেলাধুলায় নিয়মিত ব্যস্ততা পেশী শক্তি, সহনশীলতা এবং সামগ্রিক
সুস্থতায় অবদান রাখে।
ওজন ব্যবস্থাপনা: শারীরিক কার্যকলাপ ক্যালোরি বার্ন এবং বিপাক বৃদ্ধি করে একটি
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায়
রাখতে সাহায্য করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: ওজন বহনকারী খেলাধুলা হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে পারে এবং
অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
মানসিক
স্বাস্থ্য:
স্ট্রেস হ্রাস : খেলাধুলায় নিযুক্ত থাকা এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, চাপ এবং উদ্বেগ কমায়।
উন্নত মেজাজ: শারীরিক কার্যকলাপ ডোপামিন এবং সেরোটোনিন নিঃসরণকে ট্রিগার
করে, যার ফলে মেজাজ ভালো হয় এবং বিষণ্ণতার অনুভূতি কমে যায়।
টিমওয়ার্ক এবং সামাজিক দক্ষতা: টিম স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করা দলগত কাজ, যোগাযোগ
এবং সামাজিক দক্ষতাকে উত্সাহিত করে, সম্প্রদায় এবং বন্ধুত্বের অনুভূতি প্রচার করে।
উন্নত ঘুম: নিয়মিত ব্যায়ম বা খেলাধুলা ভালো ঘুমের ধারণ তৈরি করতে পারে যা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।
ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণের আগে ও খেলার সময়: ফুটবল খেলায়
অংশগ্রহণের আগে আমাকে "B" দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। "B" দলের সদস্যা সংখ্যা ছিল 16
জন। প্রথমে আমি ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু বাকি সদস্যরা আমাকে উৎসাহ দেয় কোথায় কোন
পজিশনে খেলতে হবে। এর ফলে আমার ভয় দূর হয়ে যায়।
ফুটবল খেলা শেষে অভিজ্ঞতা: ফুটবল খেলা শেষে আমার অভিজ্ঞতাটি ছিল খুবই দারুন।
খেলা শুরু হয় । সকাল 10 টায় মাঠে টান টান উত্তেজনা। চারদিকে দর্শকের চিল্লাচিল্লি। প্রথমার্ধ
০-০ গোলে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ সময় আরিফের পাস থেকে আমি দলের একমাত্র
গোলটি করে সবাইকে আনন্দে ভাসায়।
চারদিক থেকে সবাই বাহবা দিচ্ছিল আর আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল। তখন আমার খুব ভালো লেগেছে।
খেলা চলাকালীন সময়ে সমস্যা: খেলার সময় আমি বেশ কয়েকবার ফাউলের
শিকার হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে মাঠের বাহিরে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খেলার
জন্য উপযুক্ত করে। তাছাড়া আমার দলের আরো কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যাথা পেয়ে মাঠ
ত্যাগ করে।
খেলা চলাকালীন সহযোগিতা: খেলার সময় প্রত্যেক সদস্য আমাকে বল পাস দিতে
অনেক সাহায্য করেছে। আমিও তাদেরকে যথাযথভাবে বল পাস দেই। এভাবে সবাই সবাইকে
সাহায্য করাই আমার খেলায় জয়লাভ করি।
অন্যের প্রতি নিজের ইতিবাচক মনোভাব: সবাই অনেক ফ্রেন্ডলি ছিল, বিপক্ষদল এবং সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।
অন্যের প্রতি নিজের নেতিবাচক মনোভাব: নেতিবাচক আচরণ নেই।