শিখন অভিজ্ঞতা
১। সেশন ১-২ এর প্রায়োগিক লেখার ধারণা নিয়ে পুনরালোচনা' বাদ দিতে পারেন। একইসাথে চিঠি লেখা পড়া বা এ নিয়ে যে কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতার উপর আলোচনা' এবং 'চিঠি পাঠ ও আবৃত্তি' এই দুটি কাজ একটি সেশনে অর্থাৎ সেশন ১ এ করতে পারবেন।
শিখন অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দুটি উত্তর খুজেঁ পেতে পারি । ৭ম শ্রেণীর বাংলা বার্ষিক মূল্যায়ন উত্তরপত্র ২০২৩ শিখন অভিজ্ঞতা থেকে আমরা
১.যে কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতার উপর আলোচনা
২.চিঠি পাঠ ও আবৃত্তি
এই দুটি কাজ আজকে তোমাদের সামনে ইনশাআল্লাহ আলোচনা করব। প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা এই সেশনে দুটি কাজ করতে পারবে । বার্ষিক মূল্যায়ন উত্তরপত্র ২০২৩ শিখন অভিজ্ঞতা থেকে তোমাদের জন্য আজকে এই আয়োজন ।
১.আমার চিঠি
পড়ার অভিজ্ঞতা:
গতবছর আমার
আবির আমাকে একটি চিঠি লিখেছিল । পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় একটি চিঠি লিখেছিল।
পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় আমি ভালো ফলাফল অর্জন করেছি বলে সে তার চিঠিতে আমার
অনেক প্রসংশা করেছে। সে আমার ফলাফলে কতটা খুশি , তা সম্পূর্ণ চিঠি জুড়ে লেখা ছিল। আমি
তার চিঠিটি পেয়ে খুবই আনন্দিতবোধ করেছিলাম।
আমার
চিঠি লেখার অভিজ্ঞতা:
২০২০
সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আমার প্রিয় বন্ধু আবিরের জন্মদিন ছিল। কিন্তু তখন সারাবিশ্বব্যপী
করোনা
মহামারি
চলমান থাকায় আমি তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এতে আমার মন খুব খারাপ
ছিল। তবে আমি েএকটি চিঠি লিখে আমার বন্ধু আবিরকে তার জন্মদিনের জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা
জানিয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম লেখা কোন চিঠি। সেই চিঠিতে আমি উল্লেখ করেছিলাম,
তার জন্মদিনে উপস্থিত না হতে পেরে আমি কতটা হতাশ। পাশাপাশি তার জীবনের নতুন বছরের
জন্য শুভকামনাও ছিল উক্ত চিঠিতে।
২. চিঠি পাঠ ও
আবৃত্তি :
নমুনা
উত্তর:
কল্যাণীয়েষু,
এইমাত্র
তোমার চিঠি ও কবিতা
পেলাম। কবিতাটি 'সওগাতে' দিলাম।
আমি চিঠির উত্তর দিইনে কারোর, এ বদনামটা কায়েম হয়ে গেছে। সময়ের অভাব বলেই দিতে পারিনে। পলিটিকস, কাব্য,গান, আড্ডা ইত্যাদির চাপে আমার ভদ্রতার কোকিল বহুদিন ধরে নিশ্চুপ আছে।তোমার কবিতা মাঝে মাঝে দেখছি 'মোহাম্মদী'তে। দু'একটা খুবই ভালো লেগেছে। ছন্দ ও ভাষা দুই ঘোড়াকেই তুমি বেশ আয়ত্ত করেছ। ভাবের নীহারিকা লোক তোমার উজ্জ্বল গ্রহ হয়ে দেখা দেয়নি বলে অধৈর্য হয়ো না। ও দানা বাঁধতে একটু সময় লাগবে হয়তো।তোমার সামনে আজো বিপুল ভবিষ্যত পড়ে রয়েছে, অসীম তোমার সামনে আজো বিপুল ভবিষ্যত পড়ে রয়েছে, অসীম শূন্য তোমার চারপাশে, তোমার স্বপন-লোকের নীহারিকা-পুঞ্জ আজো বাষ্পাতুর। ওই ভালো, আমি হয়ে ওঠার চেয়ে সম্ভাবনাকে বেশি ভালোবাসি ।
আমি এসেছি হঠাৎ ধূমকেতুর মতো, হয়তো চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এ বিষ্ময় থাকবে না বেশিদিন। ধূমকেতু যেমন সহসা আসে, তেমনি সহসা চলে যায়। তোমরা আমাদের আকাশের অনাগত জ্যোতিষ্ক, গ্রহপুঞ্জ; তোমরা যেদিন রূপ ধরে উঠবে, সেদিন তোমাদর আড়াল করে থাকার কোনো প্রয়োজনহবে না এ ধুমকেতুর। আমার সমস্ত লেখায় কামনায় শুধু এই প্রার্থনাই ধ্বনিত হয়ে উঠেছে-তোমরা এসো অনাগত কবির দল, আমি ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে গেলাম, তোমরা ভোরের পাখি, তাদের গান শুনিও।
জসীম, কাদির প্রভৃতিকে আমি ভালোবাসি আমার চেয়েও। আজ হতে তুমি তাদের একজন হলে যাদের আমি ভালোবাসি।সব সময় খবর যদি নাই নিতে পারি, মনে রাখব। আমার- আরিক বাশি ও কে পরা করো!
আন্তরিক
শুভাশিস ও স্নেহ গ্রহণ
করো!
ইতি-
শুভার্থী
নজরুল
ইসলাম।
উৎস:
আজিজুল হাকিমকে লেখা জাতীয় কবি
কাজী নজরুলের একটি চিঠি। সময়কাল:
৫ অক্টোবার, ১৯২৯। ওয়েলসলি স্ট্রিট, কলকাতা।