আসছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবার কাতুহু.............
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আজকে সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘ তোলপাড়’ গল্পের অংশটির সমাধান আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ৭ম/সপ্তম শ্রেণী তোলপাড় গল্পের সমাধান/৭ম শ্রেণির বাংলা গাইডের তোলপাড় গল্পের সমাধান।
এই ওয়েব সাইটটিতে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা সহায়ক বিষয় ইন-শা-আল্লাহ যথাসময়ে পেতে থাকবেন। আজকে আপনাদের জন্য ৭ম/সপ্তম শ্রেণী তোলপাড় গল্পের সমাধান নিয়ে এসেছি। প্রত্যেকটি বাড়ির কাজের সমাধান পেয়ে যাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ৭ম/সপ্তম শ্রেণী তোলপাড় গল্পের সমাধানটি।
তোলপাড়’ গল্পটি নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তর
: 'তোলপাড়' গল্পটিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটের চিত্র ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষের জীবন খুব অসহায় হয়ে ওঠে। পাকস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে মানুষকে গুলি করে মারতে থাকে। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে সর্বস্তরের মানুষ এক স্থান থেকে
অন্য স্থানে পালাতে থাকে। ‘তোলপাড়' গল্পের এক সাহসী কিশোর
সাবু। সাবু অসহায় মানুষগুলোর
পাশে দাঁড়ায়। সাবুর মা জৈতুন বিবি
মুড়ি ভেজে রাখে। ছেলের হাতে মুড়ি ও পানি দিয়ে
ক্ষুধার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আদেশ করে। কিশোর সাবু তার মায়ের আদেশ যথাযথ ভাবে পালন করে। এক প্রৌঢ় নারী
খুশি মনে সাবুকে পাঁচ টাকা দিলে সাবু তা নিতে অস্বীকার
করে। কারণ তার মায়ের নিষেধ আছে। এতে সাবুর নিঃস্বার্থ পরোপকারী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। পকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারে কিশোর সাবু প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। শত্রুদের মোকাবিলা করার জন্য তার বুকে তোলপাড় শুরু হয়।
জীবনের সঙে্গ সম্পর্ক খুজিঁ
’তোলপাড় ‘ গল্পের সাথে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুজেঁ পাও কি না, কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না, তা নিচে লেখো ।
................................................
................................................
................................................
উত্তর : সম্পর্ক বা মিল : 'তোলপাড়' গল্পের সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো বন্ধুর মিল খুঁজে পাই। 'তোলপাড়' গল্পটিতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন ঘটনার চিত্র ফুটে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। জীবন বাঁচার তাগিদে মানুষ পাগলের মতো চারদিকে ছুটতে থাকে। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষের ঢল নামে পথে প্রান্তরে। গল্পের গাবতলি গ্রামেও অনেক মানুষের আগমন ঘটে। এ গ্রামেই কিশোর সাবুর বাড়ি। সাধু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে সে মানুষের সেবা করে। তার মনে প্রতিশোধের আগুন দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে। তেমনিভাবে আমার কিছু অন্তরঙ্গ বন্ধু আছে। তাদের মধ্যে মো: রফিক আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। সে আমার একজন সহপাঠী। আমরা ছয় বছর বয়স থেকে একত্রে পড়াশোনা করছি। রফিক উত্তম নৈতিক চরিত্রের অধিকারী। কর্কশ ব্যবহার সে জানেই না। ভালো ছাত্র হওয়ায় শিক্ষকগণ তাকে ভালোবাসেন। সে খুব মিশুক প্রকৃতির, সবাই তাকে পছন্দ করে। সে শুধু একজন ভালো ছাত্রই নয়, ভালো ক্রিকেটারও। খেলার মাঠে তার সাফল্যে আমি গর্বিত। সত্যি বলতে কি, আমি তাকে খুবই পছন্দ করি এবং সেও আমাকে হৃদয় দিয়ে পছন্দ করে। প্রকৃতপক্ষে তার মহৎ হৃদয় এবং সুন্দর ব্যবহারই আমাকে তার বন্ধু হতে আকর্ষণ করেছে। যখনই আমি তার বাড়িতে যাই তখনই দেখি সে তার ছোটো ভাইবোনকে পড়াশোনা করতে সাহায্য করছে। আমিও তার সাথে পড়াশোনার ব্যাপারে আলোচনা করি। তার চরিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে তার সততা। আর সে কখনো কারো নিন্দা করে না। গল্পের সাবুর মতোই তার মধ্যে সহায়ক সহানুভূতির মনোভাব রয়েছে। যে কারণে অন্য সবার মধ্যে রফিককে আমি বন্ধু হিসেবে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি