মসলকে আ'লা হযরতর প্রচার প্রসারে জামেয়ার ভূমিকা (চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ)
হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান
মহান রাব্বুল আলামীনার দয়া, মেহেরবাণীর অন্ত নেই। পথভোলায় অভ্যস্থ সাধারণ মুসলমানদের তিনি বারে বারে সত্যের আলোতে ডেকে নেন । যুগে যুগে নবী-রাসূল'র ধারাবাহিকতা তাঁর অনুগ্রহরই পরিচয় দেয়। শেষ নবীর তিরোধান। পরবর্তী হেদায়াতের পবিত্র আলো প্রজ্বলিত রাখার জন্য তাঁর উম্মতের কাছে কুরআন-সুন্নাহর পাশাপাশি প্রতিটি শতাব্দির মাথায় 'মুজাদ্দিদ' প্রেবণের ধারা অব্যাহত রাখেন।
হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযার (রহমতুল্লাহি আলাইহি) ব্যাপক সংস্কার কর্ম তাকে মুসলিম মানসে এক ভিন্ন মাত্রার ইমেজে দাড় করিয়েছে। বিশেষত: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা বিশ্বাসে তাঁর সংস্কারের স্বীকৃতি তাঁকে অনন্য স্বকীয়তায় ভাস্বর করে তুলেছেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী আসবে, মুজাদ্দিদের সে প্রবাহও থাকবে অব্যাহত, কিন্তু তাঁর সর্বপ্লাবী আপোষহীন 'তাজদীদ' (যুগান্তরকারী সংস্কার কর্ম) এমন অমরত্বে মিল্লাতের মানসপটে ছাপ রেখে দিয়েছে, চিরায়ত অনুসরণীয় শাশ্বত হক আকীদা আমল নতুন জীবন পেয়ে তাঁরই নামে নামাঙ্কিত হয়েছে । বিশুদ্ধতম সুন্নী আক্বীদার প্রতিশব্দ হয়ে হক্ব পন্থীদের মনমানসে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে 'মসলকে আ'লা হযরত'।
মাত্র ১৩ বছর ১০ মাস ৫ দিন বয়সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করে পিতার দেয়া নির্দেশে দুগ্ধদান সম্পর্কিত এক জটিল বিষয়ে শরয়ী সমাধানের জন্য কলম হাতে নেন আ'লা হযরত। তার সমাধান হতবাক করে বিজ্ঞ মহলকে । সেই থেকে ওফাত পর্যন্ত থামেনি এ কলম। তাঁর নসীর অসি ওহাবী, দেওবন্দী, লা-মাযহাবী, শিয়া, কাদিয়ানী, রাফেয়ীসহ বিশ্বে উদ্ভূত বাতিল ফিরকা সমূহের যেমন কবর রচনা করেছে, তেমনি মুসলিম উম্মাহর সম্মুখ পথকে করেছে। কন্টকহীন, মসৃণ।
ভারতবর্ষে ওহাবী মতবাদকে প্রতিষ্ঠার জন্য সৈয়দ আহমদ বেরেলভী ও ইসমাইল দেহলভী বৃটিশ সহায়তায় মৌলভী কাসেম নানুতুভীকে দিয়ে দেওবন্দ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে। ইংরেজদের মদদপুষ্ট হয়ে ভক্ত গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নবুওয়ত দাবী করে কাদিয়ানী নামের বাতিল ফিরকার জন্ম দেয় । ওহাবী মতবাদের জনক ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী'র আতাওহীদ'র উর্দু রূপ 'তারভিয়াতুল ঈমান' রচনা যা সাহাবায়ে রাসূল থেকে চলে আসা আকীদা-বিশ্বাসের মুলে কুঠারাঘাত হানে। এ ধারাবাহিকতায় দেওবন্দ'র প্রতিষ্ঠাতা মৌং কাসেম নানুতভী তাহযীরুন্নাস' গ্রন্থ, আশরাফ আলী বানভীর 'হেফযুল ঈমান' গঙ্গুহীর 'বারাহীনে কাতিয়া ইত্যাদির দ্বারা ইসলামী আব্বায়েদের প্রাণকেন্দ্র আল্লাহর হাবীব আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'র প্রতি অবমাননার ধৃষ্টতা দেখিয়ে চিরায়ত বিশ্বাসে চরম আঘাত হানে। এদের প্রতি বারংবার সংশোধনের তাগাদা দিলেও তারা সে সব ঈমান-বিধ্বংসী, সর্বনাশা বক্তব্য প্রত্যাহার না করায় শরীয়তের পবিত্র দায়িত্ব পালনে নিরুপায় আ'লা হযরতের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কুফরীর ফতওয়া করতে হয় । ফলে শাণিত হয়ে ওঠে মুসলিম চেতনা। ওহাবী আকীদার খণ্ডনেই তিনি আঠারোটি কিতাব প্রণয়ন করেন । আলহামদুলিল্লাহ! তাঁর প্রদত্ত কোন ফতওয়া ও শরয়ী সমাধান আজ পর্যন্ত কেউ চ্যালেণ্ড করতে সাহস করেনি । কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীদার হলেও দেওবন্দীরা এটা প্রচার করে না যে, তারা লেখালেখির চোরা পথে প্রবিষ্ট হয়েছে কাদিয়ানী ফিৎনা। অথচ দত্য এটাই যে, আলা হযরত এ ফিৎনার মূলোৎপাটনে পাঁচটি প্রামাণ্য গ্রহ মিল্লাতের অস্ত্র স্বরূপ উপহার দেন
এছাড়াও ত্রিত্ববাদ, শির্ক, ইলহাদ, নেচারী, নওয়াসিক, গাইরে মুকাদি লা-মাযহাবী, মুসফিক, তাফদ্বীলিয়া, মুতাসাওয়িফা প্রভৃতি বাতিল মতবাদও সচেতন সংস্কার কর্ম ও ব্যাপক বিপ্লবধর্মী চিন্তাধারা দ্রুত ভারতবর্ষ হয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তাতে সমসাময়িক হক্কানী ওলামা-মাশায়েখ ১৮৮০ সনে তাঁর জীবদ্দশাতে তাকে অবিসংবাদিত শতাব্দীর মহান সংস্কারক তথ্য 'মুজাদ্দিদ' হিসেবে অকুণ্ঠ চিত্তে বরণ করে নেয়। তাঁর সাধনার প্রধান ক্ষেত্র দ্বয়ের কথা তিনি নিজেই বলেছেন।
১. শানে রেসালতে ধৃষ্টতার প্রদর্শন কারীর সমুচিৎ জবাব দেয়া।
২. বাতিল দলীল প্রমাণের চূড়ান্ত খন্ডন করা ও হানাফী ফিকাহের অধিকতর সমুজ্জ্বল করা।
www.jamalbd.com
আলা হযরত (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এ বিশাল কর্ম পরিধির মূল প্রেরণা আর কিছু নয়। তিনি সমকালের শ্রেষ্ঠতম নবী প্রেমিক রাসূল ছিলেন । তার অসাধারণ কর্মদক্ষতা আর প্রতিটি যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি প্রিয় নবীর প্রেম সিন্ধুর একটি বিন্দুর চির কাঙাল । তাই নবিজীর অকালে সককিছুতেই তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন আকাশের বিশালতা দিয়ে । এজন্য নবীবংশের এক পালকি বেহারার কাঁধে চড়ার গ্লানি দূর করতে অবিভক্ত ভারতের এক জ্ঞান সাধক আ'লা হযরত তাকে পালকিতে চড়িয়ে নিজের কাঁধে নিয়ে বনে অকুণ্ঠে তার কাফফারা দিয়েছেন । আওলাদে রাসূলের প্রতি এ শ্রদ্ধা গোটা ইসলামী দুনিয়াকেই অভিভূত ও মুগ্ধ করেছে । নবীর চরণে তাঁর এক অসামান্য বিনয়ের কথা ভাবতেই অজান্তে দু'নয়ন অশ্রুসজল হয়ে ওঠে বৈকি। এটাই তাঁর সাধনার মূল বেদী, এখানেই তিনি আত্মনিবেদিত । এখানেই তিনি স্বতন্ত্র । তিনি আলাদা, অসাধারণ । তাঁর সেই রাসূল প্রেমের অর্ঘ হয়ে দেদীপ্যমান ন ‘তের কাবা হাদায়েকে বখশিশ ।
মসলকে আ'লা হযরতের মূল কথা তিনি 'তামহীদে ঈমান' পুস্তিকায় ব্যক্ত করেছেন । যদি কারো দ্বারা প্রিয় নবীর শানে সমান্যতম গোস্তাখী কি অবহেলা প্রদর্শিত হয়, "তবে তাকে দুধ থেকে মাছি তুলে নিক্ষেপ করার মত নিজ অন্তর থেকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলো, হোক সে যতকিছুই”। এ অন্তর্নিহিত সত্যটি সবার মাঝে সঞ্চারিত হোক, এ লক্ষ্যেই কুতুবুল আউলিয়া আলে রাসূল শাহেনশাহে সিরিকোট হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলার বুকে মদীনাতুল আউলিয় চট্টগ্রামে ১৯৫৪ ইং সনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কিশতিয়ে নূহ বা জান্নাত নিশান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ।
সে ব্যাথার বিষন্নতা তাঁর পবিত্র বুকে চনমনিয়ে ওঠেছিল সুন্নিয়তের এ দূর্গ গড়ার প্রেরণা, সে ইতিহাস আজ অবাদিত নয়। নবী প্রেম শূন্য দ্বীনি ইলম ইবাদত সবই অন্তঃসারশুণ্য । এটাই মসলকে আ'লা হযরতের মূল থিম । নয়তো তখন নাম যশ বড় মাদরাসা আরো ছিল । কিন্তু বানিয়ে জামেয়া এর ভিত্তি দেওয়ার সময় ইরশাদ করেছিলেন, ”জামেয়া কা সাঙ্গে বুনিয়াদ মসলকে আ'লা হযরত পর রাখা গ্যায়ী'। সেই ঘোষণা সুন্নী জনতার মনে অনুরণিত হয়ে প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেয় এই জামেয়া মসলকে আ'লা হযরত প্রতিষ্ঠার প্রেরণা, আ'লা হযতর'র মৌলিক দর্শন চর্চার প্রাণকেন্দ্র ।
এ কথার যথার্থতা প্রমাণে এখানে সুন্নী আন্দোলনের অগ্র সৈনিক লব্ধ-প্রতিষ্ঠা লেখক, প্রত্যয়ী সংগঠক এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার সাহেবের হতে কয়েকটি লাইনের উদ্ধৃতি অতি সমীচিন মনে করছি। শাহেন শাহে সিরিকোট হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ (র.) সর্বপ্রথম মসলকে আ'লা হযরতের ভিত্তিতে এদেশে ১৯৫৪ তে প্রতিষ্ঠা করেনে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা- যা বর্তমানে বাংলাদেশে আ'লা হযরত চর্চার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। পরবর্তী তাঁর সাহেবজাদা তৈয়্যব শাহ্'র হাতে আ'লা হযরতের সামগ্রিক চিন্তাধারা ব্যাপকতা লাভ করে। আ'লা হযরত রচিত না'তিয়া 'সবসে আওলা' এবং 'মুস্তফা জানে রহমত’ তাঁরই যুগান্তরকারী পদক্ষেপে আজ এখানকার ঘরে ঘরে, মাহফিলে, মাদরাসায় চর্চিত হচ্ছে । [সূত্র : আল মুখতার, আ'লা হযরত কনফারেন্স ২০১১ স্মার এ প্রসঙ্গে তার আর একটি তথ্য রীতিমত অবাক করে। আ'লা হযরত'র 'তাদবীরে ফালাহ' গ্রন্থের একটি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে এক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ উল্লেখের দাবী রাখে। তিনি চেয়েছেন মুরিদ ভক্তরা নিজেদের বিরোধ কোর্টে না। দিয়ে নিজেরা মীমাংসা করে নিক। ১৯৭৮ ইং সনে গাউসে পাক হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাদিয়াল্লাহু আনহু)'র রওযা শরীফে অবস্থানে তিনি এ নিদের্শনা স্থির করেন । যা লিখিত নির্দেশনা হিসাবে ২১ এপ্রিল ১৯৮৭ ইং আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার নিয়মিত সভায় পঠিত হয়।
আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাঁর প্রতিষ্ঠিত জশনে জুলুসে আ'লা হযরতের নাত সমূহ পড়ার জন্য ফরমাশ দিতেন । মাসিক তরজুমান আ'লা হযরত চর্চার সংবাদ ও তার সম্পর্কে লিখিত প্রবন্ধ গুরুত্ব সহকারে ছাপিয়ে থাকে। তাঁর অনেক রচনাবলি এ পত্রিকায় ধারাবাহিক অনূদিত হয়ে থাকে। এ পত্রিকার লেখকবৃন্দের অধিকাংশ জামেয়ার সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী । তরজুমান, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ জামেয়ারই ফসল ।
আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাঁর প্রতিষ্ঠিত জশনে জুলুসে আ'লা হযরতের নাত সমূহ পড়ার জন্য ফরমাশ দিতেন । মাসিক তরজুমান আ'লা হযরত চর্চার সংবাদ ও তার সম্পর্কে লিখিত প্রবন্ধ গুরুত্ব সহকারে ছাপিয়ে থাকে। তাঁর অনেক রচনাবলি এ পত্রিকায় ধারাবাহিক অনূদিত হয়ে থাকে। এ পত্রিকার লেখকবৃন্দের অধিকাংশ জামেয়ার সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী । তরজুমান, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ জামেয়ারই ফসল ।
জামেয়ার অধ্যক্ষ পদে প্রথমেই শাহেন শাহে সিরিকোট (রহ.) আ'লা হযরতের সিলসিলারই একজন মুফতী ওয়াকার উদ্দিন (রহ.) কে নিয়োগ করে মসলকে আ'লা হযরতের প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার সূচনা করেন । হুযূর কেবলা তৈয়ব শাহ (রহ) পরে এমনি আরেক মহান ব্যক্তিত্ব আল্লামা নসরুল্লাহ খান (রহ.) কে নিয়োগ করে এ ধারা অব্যাহত রাখেন । আ'লা হযরতের বিশুদ্ধতম উর্দূ তরজুমায়ে কুরআন ‘কানযুল ঈমান' বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে বাংলাভাষী মুসলমানদের অশেষ কল্যাণ সাধিত করেছেন আল্লামা এম.এ. মান্নান সাহেব । যিনি জামেয়ারই ফসল। মিশর আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধ্যাপক সায়্যিদ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন আ'লা হযরতের ওপর গবেষণা করেছেন । তিনিও জামেয়ার গড়া এক সাবেক কৃতি ছাত্র । এ কৃতিত্বে তিনিই প্রথম বাংলাদেশী ছাত্র। বিশিষ্ট ইসলামী রাজনীতিবীদ আল্লামা স.উ.ম আব্দুস সামাদ এম ফিল করেন আ'লা হযরত'র ওপর। তিনিও জামেয়ার সাবেক ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ'লা হযরতের অনবদ্য নাত কাব্য সংকলন হাদায়েকে বখশিশ'র ওপর পূর্ণাঙ্গ থিসিস করেছেন ড. আল্লামা নাসিরউদ্দীন। তিনি জামেয়ারই প্রাক্তন ছাত্র। শুরুতে কিছুদিন তিনি জামেয়া মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতাও করেন। বর্তমানে আনজুমান পরিচালিত রাজধানীর কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া অধ্যাপনায় নিয়োজিত ।
আ'লা হযরত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠার নেয়া থেকে এই পর্যন্ত যে সমস্ত মেধাবী মননশীল আলেমরা মসলকে হযরত চর্চার ধারা বেগবান রেখেছেন তাদের নব্বই ভাগই জামেয়ার ফসল । ঢাকার বুকে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ আ'লা হযরত কনফারেন্স দেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে আ'লা হযরত চর্চা জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন, তন্মধ্যে উপাধ্যক্ষ আবুল কাশেম ফজলুল হক, মুফতী বখতিয়ার উদ্দীন, জসীমউদ্দীন আযহারী সহ জামেয়ার প্রাক্তন কৃতি ছাত্রদের কথা উল্লেখ করার দাবী রাখে । আমান বাজার লালিয়ার হাটে জামেয়ার প্রাক্তন কৃতি ছাত্র মুফতী শাহেদুর রহমান হাশেমী প্রতিষ্ঠিত আ'লা হযরত কনফারেন্স সহ দেশের সব অনুষ্ঠানাদিতে জামেয়ার ছাত্রদের ভূমিকাই অগ্রণী । জামেয়ার এ্যাসেম্বলীতে সবসে আ'লা দিয়ে প্রাত্যাহিক কার্যক্রমের সূচনার কথা উল্লেখ হয়েছে। হুযুর কেবলা অসংখ্য রূহানী সন্তানদের উপস্থিতি অনুষ্ঠিত সকল প্রোগ্রামের বিশেষ আকর্ষণ মুস্তফা জানে রহমত'র কোরাষ হৃদয়ে ভক্তির তুফান জাগায়। তাঁর পেছনে জামেয়া ও আলা হযরাতের নির্দেশনাই কার্যকর । সর্বশেষ সংযোজনা যা সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে আলমগীর খানকা শরীফে নিয়মিত হাদায়েকে বখশিশ পাঠের আসর, সাপ্তাহিক দরসে ফতওয়ায়ে রযভিয়্যা (যাতে মুফতী আব্দুল ওয়াজেদ সাহেব দরস দেন) ইত্যাদি এ যাত্রার ক্ষেত্রে ব্যাপক গতি এনেছে। জামেয়ার বর্তমান প্রিন্সিপাল, ভাইস-প্রিন্সিপাল, শাইখুল হাদীস, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতী, প্রভাষকবৃন্দ প্রায়ই জামেয়ার গড়া একঝাঁক ওলামা, যাঁরা নিজেদের মেধা-মনন দিয়ে মলকে আ'লা হযরত চর্চায় রত।
আরবী প্রভাষক, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা