কখন থেকে সন্তানদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন?

Muhammad Jamal Uddin
0


কখন থেকে সন্তানদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন?


কখন থেকে সন্তানদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন?

আমি মনে করি আপনি আপনার কন্যাকে বা সন্তানদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সবচেয়ে ভাল বা উত্তম পন্থা্ হলো আপনি নিজে একজন উৎসাহী ছাত্রে পরিণত হয়ে যাওয়া।কুরআন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আর সে যখন বেড়ে উঠতে শুরু করবে তখন প্রথমে আল্লাহ সম্পর্কে ভাল ধারণাগুলো তার কানে পৌছে দিতে হবে। আমি শিশুদের উদ্দেশ্যে সে সকল ঘটনাবলি বলা স্বাস্থ্যকর মনে করি না যে ঘটনাবলিতে নবিদের জাতিসমূহ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।কারণ সে ঘঠনাগুলো মক্কাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হয়েছিল যখন কুরাইশদের আচরণ ছিল ঐ সকল জাতির মতো । তো আল্লাহ এই মানুষগুলোকে ভিতি পদর্শন করেছিলেন সেই ঘটনাগুলো বণর্না করার মাধ্যমে। আমরা প্রায় ভাবি আমাদের সন্তানদেরকে শিশু অবস্থায় নূহ আলাইহিস সালাম লূত আলাইহিস সালাম সালেহ আলাইহিস সালাম এবং শোয়াইব আলাইহিস সালাম এর ঘটনাগুলো বণর্না করার দরূন তাদের মনে আল্লাহ সম্পর্কে এমন একটা ধারণা তৈরি হতে পারে যে তিনি আল্লাহ সব সময় জাতিদেরকে ধ্বংস করতে থাকেন।তো মানসিক ভাবে তাদের আল্লাহ সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরি হয় যা আল্লাহকে ধ্বংস কারী হিসেবে জানার মাধ্যম। একটি শিশুর মনে আল্লাহ সম্পর্কে প্রথম যে ধারণাটি আপনি তৈরি করতে চান তা হলো আল্লাহকে স্মরণ করা ভাল জিনিস গুলোর জন্য যখন আপনি খাবার গ্রহণ করেন তখন আপনি বলতে পারেন আল্লাহ আমাদের অনেক বেশি ভালবাসেন তাই না? দেখ কি চমৎকার খাবার তিনি আমাদের আহার করার জন্য দিয়েছেন।আল্লাহ আমাদের অনেক বেশি ভালবাসেন তাই না? দেখ তিনি আমাদের কি সুন্দর হাত দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের অনেক বেশি ভালবাসেন তাই না ? তিনি কি সুন্দর রাত আমাদের দিয়েছেন। এই চাদ টাকে দেখ , এই পাতাটি দেখ , এই গাছটি দেখ, এই তারাটি দেখ ইত্যাদি ইত্যাদি। সব সময় শিশুদের সামনে আল্লাহর গুনাগুন সৌন্দর্য্য, ইতিবাচকতা এবং কৃতজ্ঞতাকে আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত করবেন।

 

কারণ আমার মতে ইসলামি শিক্ষার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বর্পূণ দিকটি হলো ইসলামিক দৃষ্টিকোণ। আপনি আপনার শিশুর মধ্যে তা গড়ে উঠতে সাহায্য করতে পারেন তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার মাধ্যমে। যখন আমাদের শিশুরা বড় হতে থাকে আর তারা বাবা মাকে কথা বলতে শুনে টাকা পয়সা নিয়ে, পারিবারিক দ্বন্ধ নিয়ে বা অমুক এটা বলেছে তমুক এটা বলেছে তাহলে এগুলো নিয়েই তারা বেড়ে উঠবে। এইগুলোই হবে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রভাবক।  আর যখন তারা শুনবে যে বাবা মায়েরা আল্লাহ সম্পর্কে কথা বলছে সেটা হবে বেশি শক্তিশালী শিক্ষা। তাজবীদ শেখা,কুরআন মুখস্থ করা , আরবি ভাষা শেখা, হাদিস শেখা, ফিকাহ শেখার চেয়েও  তারা এসব বিষয় শিখতে পারে। কিন্তু তার পরেও আল্লাহ যেমন ব্যক্তিত্য আশা করে  তারা তেমন ব্যক্তিক্ত্যের অধিকারী নাও হতে পারে। তো গতানুগতিক ইসলামিক শিক্ষাগুলো আসলে মানসিকতা তৈরির তুলনায় আসরে সহজতর।  এখন কোন বয়সে আপনার উচিত তাদেরকে প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়া । আমার মতে শিক্ষা অজর্নের ক্ষেত্রে শিশুর স্বভাবশুলব প্রবণতা বিভিন্ন ধরনের হয়। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে শেখার ক্ষেত্রে ,মুখস্থ করার ক্ষেত্রে আপনার সন্তানের স্বভাবসুলব প্রবণতটা বেশ ভালো তাহরে কিছুটা আগে ভাগেই আপনি নিজেই তাদেরকে  শিক্ষা দিতে পারেন।ভালবাসা সহকারে তাদেরকে শেখান – কিভাবে সূরাগুলো ভালভাবে মুখস্থ করা যায়।দ্বীন এবং দুনিয়া ভারসাম্য রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূণ বিষয়।আমি কখনোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইসলাম শিখিনি।এটাই বাস্তব।আমি আপনাদের বলছি, সব সময় পরিবারের আমার উপর দ্বায়িত্ব ছিল,পরিবারের ভরণ পোষণ করা, ৭-৮ ঘন্টা কাজ করা তার সাথে ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করা। তার সাথে শরীর চর্চা করা ,তার সাথে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা । আপনি ইসলামিক জ্ঞান অর্জনকে জীবনের অংশ বানিয়ে পেলুন। আর এই অনুভূতিটি আমরা আমাদের সন্তানদের মনে গেতে দিতে চাই।ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করা হবে তাদের জীবনের একটা অংশ।যেমনকি দাতঁ মাঝাটাও তাদের জীবনের অংশ।ঘুমের অভ্যাস তাদের জীবনের অংশ। 


ইসলাম শিক্ষার ক্ষেত্রেএই অভ্যাস ও তাদের জীবনের অংশ।যখন আপনি এটা করবেন তখন ইসলাম শুধু একটি বিশেষায়িত যোগ্যতার নাম হবে না ইসলাম হয়ে যাবে জীবনের একটা অংশ। আর যখন তারা বাবা-মাকে দেখবে যে তারা ইসলাম শিক্ষা অর্জনকে জীবনের নিয়মিত অংশ পরিণত করছে শিশুরা নিজেরাও এই অভ্যাসকে ধারণ করবে।কারণ শিশুরা তাদের বাবা মায়ের আচরণকে ধারণ করে। আর এটা হবে আপনার করা একটা সহজ কাজ। কারণ যদি আপনি আপনার সন্তানকে নিয়মতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিক ইসলাম শিক্ষা প্রদান করেন তা আপনি অবশ্যই করতে পারেন। তারপর যখন জ্ঞান অর্জন শেষ হয়ে যাবে তখন এর সমাপ্তি ঘটবে।তখন এটা তাদের জীবনের অংশ থাকবেনা ।শুধু এটুকু ছাড়া যে, তারা মনে করবে যা তাদের জানা উচিত তা সবটুকুই তারা জানে।এটা সত্য নয়। যদি তারা ইসলাম সম্পর্কে প্রচুর জেনেও থাকে মানসিক ভাবে এবং নিওরোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের মষ্তিষ্ক এখনো যথেষ্ট পরিপক্বতা অর্জন করেনি।যা তারা শিখেছে তা পরিপূর্ণ ভা্বে উপলব্ধি করার জন্য।বিশেষত তরুণ বাবা-মায়েদের জন্য।এটাই আমার জীবন ধারার সংক্রান্ত পরামর্শ। যাতে আপনারা জ্ঞান অর্জনের অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।তখন আপনাদের সন্তানেরা গড়ে উঠবে আপনাকে জ্ঞান চর্চিত অবস্থায় দেখতে দেখতে।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!