লাহোর প্রস্তাব - Lahore Resolution

Muhammad Jamal Uddin
0

 লাহোর প্রস্তাবলাহোর প্রস্তাব - Lahore Resolution

১৯৩৯ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন যে, হিন্দু মুসলমান দুটি আলাদা জাতি। তার ঘোষণা 'দ্বিজাতিতত্ত্ব' হিসেবে পরিচিত। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা একে ফজলুল হক ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব' উত্থাপন করেন। লাহোর প্রস্তাবের মূলকথা ছিল- উপমহাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলীয় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে একাধিক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। অন্যকোনো ব্যবস্থা মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। লাহোর প্রস্তাবে পাকিস্তানের কোনো উল্লেখ ছিল না। তবু এ প্রস্তাব পাকিস্তান প্রস্তাব নামেও পরিচিত। একাধিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি মাত্র রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। প্রস্তাবের ধারাগুলোর বৈশিষ্ট্য এই যে- ১. ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন বা সন্নিহিত স্থানগুলোকে ‘অঞ্চল' হিসেবে চিহ্নিতকরণ। ২. ভারতের উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্বভাগের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো নিয়ে ‘স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো' গঠন। ৩. এমন স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজনবোধে ভারতবর্ষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোর সীমানা পরিবর্তন। ৪. এসব স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রদেশ বা অঙ্গরাষ্ট্রগুলো হবে স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম। ৫. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সংবিধানে পর্যাপ্ত কার্যকর ও বাধ্যতামূলক বিধান করা।

ক্রিপস মিশন 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করলে জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে এ দেশীয় সাহায্য-সহযোগিতা লাভ করার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসকে ১৯৪২ সালে এ উপমহাদেশে প্রেরণ করেন। তিনি রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে যে কয়টি প্রস্তাব করেন, তা 'ক্রিপস প্রস্তাব' নামে খ্যাত।

ভারত ছাড় আন্দোলন

ভারতের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ক্রিপস মিশন ব্যর্থ হলে ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে “ভারত ছাড়’ দাবিতে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ (পঞ্চাশের মন্বন্তর)

১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ (পঞ্চাশের মন্বন্তর)

বিশ্বযুদ্ধের জাপানিরা বার্মা দখল করলে এখান থেকে বাংলায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে বাংলার খাদ্যশস্য ক্রয় করে বাংলার বাহিরে সৈন্যদের রসদ হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অসাধু, লোভী ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা খাদ্য গুদামজাত করে। এছাড়া অনাবৃষ্টির ফলে বাংলার খাদ্য উৎপাদনও হ্রাস পায়। ফলে ১৯৪৩ সালে বাংলায় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়। এ দুর্ভিক্ষে ৩০ লক্ষ লোক প্রাণ হারায়। বাংলা ১৩৫০ সালে সংঘটিত এই দুর্ভিক্ষ ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর' নামে পরিচিত।

১৯৪৬ সালের নির্বাচন ও সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভা

১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আবুল হাসেম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলীম লীগ জয় লাভ করে। ১৯৪৬ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃেত্বে একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এটি ছিল অবিভক্ত বাংলার শেষ মন্ত্রিসভা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী।
 ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন


১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন


১৯৪৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ দৈনিক আজাদ পত্রিকায়' ‘পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা' শিরোনামে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেন।

১৯৪৭ সালের ৫ ডিসেম্বর করাচিতে একটি শিক্ষা সম্মেলনে পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রথম সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৪৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর ‘তমদ্দুন মজলিশ' নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। 'তমদ্দুন মজলিশ' এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম। পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে চালু করার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসে 'তমদ্দুন মজলিশ'। ভাষার ওপর অধ্যাপক আবুল কাসেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ তিনটি প্রবন্ধ লেখেন। এ প্রবন্ধ তিনটিকে একত্রিত করে 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' শিরোনামে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে তমদ্দুন মজলিশ। এটি ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা এবং লেখক তিনজন ছিলেন 'তমদ্দুন মজলিশ' এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসের দুই তারিখে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ' গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদের এক অধিবেশনে ‘ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু ভাষায় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হলে পূর্ব বাংলার গণপরিষদ সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এর প্রতিবাদ করেন এবং বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের অন্যতম ভাষারূপে সরকারি স্বীকৃতির দাবি জানান। কিন্তু গণপরিষদ এই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে পূর্ব বাংলা ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ কামরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠিত হয়। এই সংগ্রাম পরিষদ রাষ্ট্রভাষার ক্ষেত্রে সরকারের ষড়যন্ত্র রোধ করার জন্য ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ওই দিন ঢাকায় বহু ছাত্র আহত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ, শামসুল আলমসহ আরও অনেক ছাত্রনেতা গ্রেপ্তার হন। এজন্য ১৯৪৮-১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময়কালে প্রতি বছর ১১ মার্চ 'ভাষা দিবস' হিসেবে পালন করা হতো। ১৫ মার্চ আন্দোলনের মুখে বঙ্গবন্ধুসহ অন্য ছাত্রনেতাদের মুক্তি দেওয়া হয় এবং খাজা নাজিমুদ্দিন ছাত্রদের সঙ্গে একটি আট দফা চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ফলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় ঘোষণা দেন- 'উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা।' ২৪ মার্চ কার্জন হলে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে ছাত্ররা 'না না' বলে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ১৯৪৯ সালে পূর্ব বাংলা সরকার বাংলা ভাষা সংস্কারের নামে 'পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি' গঠন করেন। মওলানা আকরম খাঁ ছিলেন এই কমিটি সভাপতি। ১৯৫০ সালে এই কমিটির রিপোর্ট প্রদান করা হয়। এতে উর্দুকে পূর্ব বাংলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় ভাষারূপে পাঠ করার সুপারিশ করা হয়। ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর হাতে নিহত হলে খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৫১ সালের ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা সংগ্রাম কমিটি'। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকায় এক জনসভায় ঘোষণা করেন- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে কাজী গোলাম মাহবুবকে আহ্বায়ক করে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কার্যকরী পরিষদ' গঠন করা হয়। এই পরিষদ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সারা দেশে হরতাল কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে নুরুল আমিন সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে এবং সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সংগঠিতভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে 'রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই' স্লোগান দিতে দিতে বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে সমাবেত হয়। পুলিশ উপস্থিত ছাত্রজনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করলে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ একপর্যায়ে গুলিবর্ষণ করলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকে শহিদ হন। ২১ ফেব্রুয়ারিতেই শহিদদের স্মরণে রাজশাহী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ মিনার স্থাপিত হয়। পুলিশের গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রার ওপরও পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। ফলে শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত হয় ঢাকার প্রথম শহিদ মিনার। ডা. বদরুল আলম এবং ডা. সাঈদ হায়দার এর নকশা আঁকেন। এই শহিদ মিনারটি উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের বাবা। ২৬ তারিখ সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিন আবার উদ্বোধন করেন। ঐ রাতে শহিদ মিনারটি মুসলিম লীগ কর্মীরা ভেঙে দেন। ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্রে বা সংবিধানে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদান করা হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন মালিক গোলাম মোহাম্মদ, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন এবং পূর্ব বাংলার মুখ্য মন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।

বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায় ৯ মে ১৯৫৪। এদিন পাকিস্তান গণপরিষদে ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গৃহীত হয়। এ সংবিধানে ১৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়- ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এবং বাংলা।' ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সালে এ কার্যকর হয়।

১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের সর্বপ্রথম গান রচনা করেন অধ্যাপক আনিসুল হক চৌধুরী। গানটির সুর করেন শেখ লুৎফর রহমান।

২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ চট্টগ্রামের মাহবুবুল আলম চৌধুরী 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' নামে ১৬ পৃষ্ঠার কবিতা রচনা করেন। এটি ছিল একুশের প্রথম কবিতা। ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক রচনা করেন ‘ভুলবো না, ভুলবো না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবো না'।

সুর করেন তার ভাই নিজামুল হক। এটি ছিল একুশের প্রথম গান।

‘সাপ্তাহিক সৈনিক' ছিল ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র। ১৯৪৮ সালে অধ্যাপক সাহেদ আলীর সম্পাদনায় প্রকাশ শুরু হয়। পাকিস্তানের গণপরিষদে প্রথম বাংলা বক্তৃতা দেন মাওলানা আব্দুর (রশীদ তর্কবাগীশ)

বাংলাদেশের বাইরে ভাষা আন্দোলন : ১৯৬১ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার দাবিতে আসামের কাছাড় জেলায় ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়। পুলিশ গুলি চালালে ১১ জন মারা যান। ১৯ মে আসামে রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়। ১৯৬১ অসমীয় ভাষার পাশাপাশি বাংলাকেও আসামের সরকারি ভাষার ঘোষণা করা হয়।১৯৯৭ সাল ব্রিটেনের ওল্ডহ্যাম শহরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়। এটি ছিল দেশের বাইরে নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার।


Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!