বাংলার প্রাচীন যুগ

Muhammad Jamal Uddin
0




 


 

প্রাচীন যুগ

রচনাকাল (ড. মুহাম্মদ শহদিুল্লাহর মতে ৬৫০-১২০০/ড.সুনীতি কুমার চট্যোপাধ্যায় মতে ৯৫০-১২০০)

*চর্যাপদ

চর্যাপদ মূলত ্একটি গান। রচনা করেন - বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগন। র্চযাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এই গানে পজঝটিকা ছন্দেও প্রভাব রয়েছে। চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মেও কথা উল্লেখ আছে। 

শুধু বাংলায় নয় পূর্ব ভারতের নব্য ভাষার প্রথম গ্রন্ত – = চর্যার্চযবিনিশ্চয়। চর্যাপদের  ঠিকাদার – মুনিদত্ত

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৩ বার নেপাল যায় । ৩য় বারেই ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থশালা ( রয়েল লাইব্রেরি ) থেকে চর্যাপদ সহ ৪টি গ্রন্থ আবিস্কার করেন।

৪টি গ্রন্থ গুলো  হলো = ১. চর্যার্চযবিনিশ্চয় ২.সরহপাদেও দোহা ৩.কৃষ্ণপাদেও দোহা ৪.ডার্কাণব

৪টি গ্রন্থই হাজার বছরের পুরাান বাঙ্গালা ভাষায বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে বঙ্গিয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সম্পাদনায় প্রকাশিত হয।

ঘরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি মহামহোপাধ্যায় ও শাস্ত্রী; পারিবারিক উপাধি=ভট্টাচার্য;

ঘরপ্রসাদ শাস্ত্রী ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও বাংলা ও সঙস্কৃতি বিষয়ের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন

চর্যাপদের  ভাষা নিয়ে প্রথম গবেষণা করেন= বিজয় চন্দ্র মজুমদার( ১৯২০ সালে;তার মতে চ ভাষা খিচুড়ি ভাষা)

চর্যাপদের ধমর্মত নিয়ে প্রথম গবেষণা করেন= ড মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ(১৯২৭) 

চর্যাপদের সংখ্যা ড. মুহাম্মদ শহদিুল্লাহর মতে ৫০ টি কিন্তুড.সুনীতি কুমার চট্যোপাধ্যায় মতে ৫১টি;

চর্যাপদের পদর্কতা ড. মুহাম্মদ শহদিুল্লাহর মতে ২৩ জন। কিš ড.সুনীতি কুমার চট্যোপাধ্যায় ২৪ জন

চর্যাপদ তথা বাংলা সাহিত্যোর আদি কবি ড.মু শ মতে=শবর পা; কিন্তু ড.হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এর মতে লুইপা

* চর্যাপদের  নাম

নেপালের প্রাপাÍ পুতিতে নাম ছিল=চর্যাশ্চর্য্যবিনিশ্চয়; আধুনিক পন্ডিতের মতে=চর্যাগীতিকোষ; 

চর্যাপদ প্রাপ্ত পুথিতে গান ছিল ৫১টি; তার মধ্যে ১১ হম পদেও ব্যাখ্যা দেয়া হয়ন্ িমোট পদ পাওয়া গেছে ৪৬.৬ টি সাড়ে ছেচল্লিশটি) ; কাহ্নপার ২৪ নং পদ পাওযা যাযানি। 

*আদি কবিঃ চর্যাপদের  আদি কবি লুই পা। চর্যাপদের প্রথম কবিতাটি লুই পার; ২টি পদ রচনা করে(১ও ১২==২৯ নং পদ)

*কাহ্ন পা ঃ কাহ্ন পা সর্বাদিক পদ রচয়িতা ; ১৩ টি পদ রচন্ করেন; চর্যাপদ ছাড়া তিনি অপভ্রংশ ভাষায দোহাকোষ রচনা করে

*ভুসুকুপা ঃ প্রকৃত নাম শান্তিদেব; ভুসুকুপা নিজেকে বাঙ্গালি কবি বলে পরিচয় দিয়েছেন্ তিনি ৮টি পদ রচনা করেন; ( ২য সর্বাদিক পদ রচনা করেন্ ; তার ২৩ নং পদটির ১০ লাইনের মধ্যে ৬ লাইন পাওয়া গেছে

*কুক্কুরী পা ঃ কাকে প্রচীণ তম মহিরা কবি বলে ধারণা করা হয; ( তবে প্রচীণ তম মহিলা কবি হলো=চন্দ্রাবতী)

*সমহ/সরোজবজ্র পা ঃ তিনি ৪টি পদ রচনা কওে; তার পদেও ভাষা বঙ্গকামরুপী; তিনি ও অপভ্রংশ ভাষায দোহাকোষ রচনা করে

*মীননাথ/মৎসেন্দ্রনাথ ঃতাকে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রতম বাঙ্গালী কবি মনে করেন। চর্যাপদে তার কোন পদ নেই; তবে ২১ তম চর্যাও টীকায় তার ৪টি লাইন পাওযা যায।

আধুনিক পদর্কতা হলেন ২ জন= ভুসুকু পা ও সবর পা 

র্চযাপদ পাল যুগে রচনা শুরু হয়। এসময় বাংলায় কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা িিছল। চর্যাপদে বাংলাদোেশর বাঙালি জীবন উঠে এসেছে

চর্যাপদেও ইংরেজি অনুবাদ করেন= হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ; বইটির নাম ”মিস্টিক পোয়েট্রি অব বাঙলাদেশ”

টারত মোর ঘর নাহি পড়বেসী ; হাড়ি ভাত নাহী নিতি আবেশী।রচনা করেন টোঙ্গুন পা। এই পদেও মাধ্র্যমে তখনকার দারিদ্র্য ক্লিষ্ট জীবন চিত্র উছে এসেছে।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মতে চর্যাপওদও ভাষা= সন্ধ্যা/সান্ধ্য/আলো আথারীর ভাষা/ ; তবে ম্যাক্সমোলারের মতে=প্রচ্ছন্ন ভাষা

চর্যাপদ যে বাঙলা ভাষায় রচিত তা প্রমাণকরেন= ড.সুনীতি কুমার চট্যোপাধ্যায়

*চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থ ঃ ড নীহারঞ্জন রায়ের ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ইবহমধষর  রমেশ চন্দ্র মজুমদারের যরংঃড়ৎু ড়ভ অহপরবহঃ ইবহমধষর

* ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ইঁফফরংঃ গুংঃরপ  মুহাম্মদ শাহেদ  এর নতুন চর্যাপদ

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ

অন্ধকার যুগ (১২০১-১৩৫০) এই সময়ে বাংলা সাহিত্যেও কোন নিদর্শন পাওয়া যাযনি তবে অন্য ভাষার সাহিত্য পাওয়া গেছে। অন্ধকার যুগ সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজিকে। অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন নি¤েœ দেওয়া হলো

১.শূন্য পূরান= এটি সংকৃত ভাষার রচিত; ধর্ম পুজার গ্রন্থ। রচয়িতা = রামায়ন পন্ডিত

২. শেখ সুভ দয়া এটিও সংস্কৃত ভাষায রচিত ; পীর মাহাত্য প্রাশক কাব্য ; রচয়িতা = হলাযুদ মিশ্র

৩.শূন্য পুরান এবং শেখ সুভ দয়া চম্পুকাব্য( গদ্য+ পদ)

নিরঞ্জনের রুষমা = শূন্য পূরা গ্রন্থেও অর্ন্তগত একটি কবিতা এবং ১ট অধ্যায

৩.প্রাকৃত পিঙ্গল= এাট প্রাকৃত ভাষায় রচিত। গীতি কবিতার সংকলন। 

প্রাচীন যুগ (৬৫০-১২০০) মধ্য যুগ(১২০১-১৮০০) আধুনিক যুগ ১৮০১-বর্তমান


শ্রী কৃষ্ণর্কীতন

এটি বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় নিদর্শন এবং বাংলা সাহিত্যেও মধ্য যুগের ১ম নিদর্শন। এটি বাংলা সাহিত্যেও প্রথম একক কাব্য । রচয়িতা অনন্ত বড়– চন্ডীদাস। কবির প্রকৃত নাম অনন্ত; পারিবারিক উপাধি বড়–; গুরুপ্রদত্ত উপাধি চন্ডী দাস।

১৯০৯ সালে বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমভঙ্গেও বাকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের ঘরের মাচা/চালার নিচ থেকে শ্রীকৃষ্ণককীর্তন কাব্য আবিষ্কার করেন। 

১৯১৬ সালে বসন্ত রঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় গ্রন্তটি কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়

শ্রীকৃষ্ণককীর্তন কাব্যে খন্ড আছে ১৩টি অ প্রথম খন্ডের নাম জন্ম খন্ড শেষ খন্ডের নাম রাধা বিরহ

প্রাচীণ যুগের সাহিত্যেও বৈশিষ্ট্য=ব্যক্তি কেন্দ্রিক *মধ্য = = ধর্ম কেন্দ্রিক; আধুনিক ==মানব কেন্দ্রিক

আধুনিক যুগেম ১ম কবি ইশ্বও চন্দ্র গুপ্ত; তাকে যুগ সদ্ধিখ্্খনের কবি বলা হয়; যুগ সন্ধিকাল( ১৭৬০-১৮৬০০)

শ্রীকৃষ্ণককীর্তন কাব্যেও সক্রিয় চরিত্র ৩টি । রাধা, কৃষ্ণ , বড়ায়ি। পূরাণ অনুযায়ী রাধা জীবাতœার প্রতীক; কৃষ্ণ পরমাতœ্ওা প্রতীক; বড়ায়ী রাধা কৃষ্ণের প্রেমের দূত। কিন্তু এই কাব্যে রাধা এবং কৃষ্ণ জীবাতœা পরমাতœার প্রতীক নয়। তারা রক্ত মাঙসে গড়া মানুষ

গঠন রীতি অনুসাওে শ্রীকৃষ্ণককীর্তন নাট্য গীতি। শ্রীকৃষ্ণককীর্তন কাব্যে পদ পাওযা গেছে ৪১৮ টি । ৪০৯ টি পদেও মধ্যে কবির নাম আছে/পাওয়া যায

*পঅধ্যক্ষ উপাধি বিদ্বদ্বল্লভ। এটি দিয়েছেন এইচ ডবিøউ।

*বৈষ্ণব সাহিত্য

বৈষ্ণব ধর্মের প্রর্বতক শ্রী চৈতন্য দেব। জন্ম ১৪৮৬ সালে। নবদ্বীপে; পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু ১৫৩৩ সালে পুড়িতে

বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম মুসলমান কবি=শেখ কবির

*মধ্য যুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সম্পদ বৈষ্ণব পদাবলি। নি¤েœ বৈষ্ণব পদাবলির লেখক 

১. জয় দেব ঃ ইনি বৈষ্ণব পদাবলির আদি কবি । তিনি সংস্কৃত ভাষায় পদ রচনা করেছেন্ তার কাব্যেও নাম গীত গোবিন। 

২.বিদ্যাপতি ঃ তিনি ছিলেন মিথিলার রাজ সভার কবি। বিদ্যাপতি বজ্রবুলি ভাষায় পদ রচনা করেছেন। বজ্রবলি হলো বাংলা এবং মৈথিলি ভাষার মিশ্রণে ১টি কৃত্রিম সাহিত্যিক মধুর কবি ভাষা\ এই ভাষার জনক বিদ্যাপতি।তার উপাধি কবি কন্ঠহার মৈথিলি কুকিল, অভিনব জয়দেব,নব কবি শেখর, পন্ডিত ঠাকুর। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ= ১.পুরুষ পরীক্ষা ২.গোরক্ষ বিজয় (সংস্কৃত নাঠক)। তিনি বাংলা ভাষায় কোন পদ রচনা না করেও বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র অবস্থান করে নিয়েছেন।

২.চন্ডী দাস ঃ তিনি বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি কবি। প্রিলির ক্ষেত্রে বৈষ্ণব পদাবলি আদি কবি প্রশ্নে জয়দেব না থাকলে বিদ্যাপতি উত্তর হবে। তিনি বাংলা সাহিত্যেও প্রথম মানবতাবাদী কবি। তিনি বৈষ্ণব পদাবলির শ্রেষ্ঠ কবি; তাকে বৈষ্ণব পদাবলির দুঃখের কবি বলা হয়।

৩.জ্ঞান দাস ঃ জ্ঞান দাস চৈতন্য পরর্বতী বৈষ্ণব পদাবলীর ষোড়শ শতকের কবি। তিনি চন্দী দাসের ভাব শিষ্য ছিলেন। তার কাব্যেও নাম মাথুর মুরলী শিক্ষা

৪.গোবিন্দ দাস ঃতিনি চৈতন্য পরবর্তী বৈষ্ণব পদাবলীর শ্রেষ্ট কবি গোবিন্দ দাস । তিনি বিদ্যাপতির ভাব শিষ্য ছিলেন ব্রজবুলি ভাষায় রচিত তার কাব্যেও নাম গীত গবিন্দ। এটি (ব্রজবুলি+বাংলা) ভাষায় রচিত।


জীবনী সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপান্ডব= অবুজ বিসু=অমিয় চক্রবর্তী,বুদ্ধদেব বসু,জীবনানন্দ দাস,বিষ্ণু দে,সুধীন্দ্রনাথ দত্ত।

শ্রী চৈতন্যদেব নিজে কোন সাহিত্য কর্ম রচনা করেননি। তার অনুসারিদের প্রভাবে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে চৈতন্য যুগ সুষ্টি হয়েছে।

চৈতন্য যুগ (১৫০০-১৬০০); মতান্তওে (১৫০০-১৭০০);  এ যুগের শ্রেণী বিভাগ করেন=অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

১.মুরালি গুপ্ত ঃ তিনি জীবনী সাহিত্যের আদি কবি। তিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য রচনা করেন। তার কাব্যের নাম=শ্রী শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্যচরিতামৃতম।

২.বৃন্দাবন দাস ঃ বাংলা ভাষায় জীবনী সাহিত্যের আদি কবি । তার কাব্যের নাম=শ্রী চৈতন্য ভাবগত।

৪.লৌচন দাস ঃ তার কাব্যের নাম শ্রী চৈতন্য মঙ্গল।

৩.কৃষ্ণদাস কবিরাজ ঃ বাংলা ভাষায় জীবনী সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি তার কাব্যের নাম= চৈতন্যচরিতামৃত। জীবনী সাহিত্য কচড়া নামে পরিচিত এর অর্থ দিনলিপি /ক্যালেন্ডার

অনুবাদ সাহিত্য

রামায়ণ+ভাবগত+মহাভারত

*রামায়ণ

অনুবাদ সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ্ । রামায়ণের মূল রচয়িতা বাল্মীকি । তার পূর্ব নাম রতœাকর দস্যু

১.কৃত্তিবাস ওঝা ঃ রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক । তবে শ্রেষ্ঠ অনুবাদক = কাশীরাম দাস। তিনি অনুবাদ সাহিত্যের প্রথম কবি।

তার রামায়নকে বাঙালীর জাতীয় কাব্য বলা হয়। কৃত্তিবাসের পারিবারিক উপাধি = মুখোপাধ্যায়

২.অদ্ভুতাচার্য ঃ কবির প্রকৃত নাম নিত্যানন্দ আর্চায। তিনি অদ্ভুদ আর্চায কথা নাামে রামায়ণ রচনা করেন। তাই তিনি অদ্ভুদ আর্চায হিসেবে পরিচিত।

৩.চন্দ্রাবতী ঃ তিনি বাংলা সাহিত্যেও প্রথম মহিলা কবি। তার বাবা মনসা মঙ্গল কাব্যেও দ্বীজ বংশী দাস। তবে বাাংলা সাহিত্যেও প্রথম মহিলা কবি হিসেবে ধারণা করা হয় কুক্কুরী পাকে

*ভাগবত

বাংলা সাহিত্রের ২য়  অনুবাদ গ্রন্থ।মূল রচয়িতা মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেব/বেদব্যাস

১.মালাধর বসু ঃ তিনি অনুবাদ সাহিত্যের ২য় কবি। ভাগবতের ১ম এবং শ্রেষ্ট কবি। তিনি হোসেন শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় কাব্য চর্চা করেন। উপাধি গুণরাজ খান। উপাধি দেন এইচ ডবিøউ। তার কাব্যের নাম ”শ্রী কৃষ্ণ বিজয়ঃ” 

*মহাভারত

মূল রচয়িতা মহর্ষি কৃষ্ণদৈপায়ন ব্যাসদেব।এটি সংষ্কৃত মহাকাব্য।

১.কবীন্দ্র পরমেশ্বর ঃ তার মহাভারতের নাম= বিজয় পান্ডব কথা/ভারত পাচালী; তার মহাভারতের নাম পরাগলী মহাভারত । তিনি চট্টগ্রামের শাসক আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সেনাপতি পরাগল খানের নির্দোেশ মহাভারত রচনা করেন।

২.শ্রী কর নন্দী ঃ তিনি পরাগল খানের পুত্র ছুটি খানের নির্দেশে মহাভারত অনুবাদ করে। তার মহাভারত (ছুটি খানী)মহাভারত নামে পরিচিত। 

রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান(অনুবাদ )

রোমান্টিক ধারার প্রথম কবি ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি = শাহ মুহাম্মদ সগীর । তবে রোমান্টিক ধারর শ্রেষ্ঠ কবি ও মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ মুসলমান কবি  সৈয়দ আলাওল। 

আরাকান রাজসভা ঃ মধ্যযুগে বাংলার বাইরে আরাকানে (বর্তমান মিয়ানমার )  বাাংলা সাহিত্যে চর্চা হয়। তাই আরাকান রাজসভা রোসাঙ্গ/রোসাং নামে পরিচিত। আরাকান রাজসভার প্রথম কবিা(প্রথম বাঙালি কবি) দৌলত কাজী; শ্রেষ্ঠ কবি আলাওল; অন্যান্য কবিগন=কোরেশি মাগন ঠাকুর,আব্দুল করিম/শমশের আলী

রোমান্টিক ধারার প্রথম কাব্য = ইউসোফ জোলেখা; প্রথম অনুবাদক শাহ মুহাম্মদ সগীর ,আব্দুল হাকীম

সতী ময়না ও লোর চন্দ্রানী দৌলত কাজী শুরু করেন + আলাওল শেষ করেন

ঔায়লী মজনু দৌলত উজীর বাহরাম খান(চট্টগ্রাম)মুহাম্মদ খাতের

মধুমালতী মুহাম্মদ কবির, সৈয়দ হামজা

গুলে বকাওলী নওয়াজিস খান, মুহাম্মদ মুকীম

চন্দ্রাবতী কোরেশী মাগন ঠাকুর

নূরনামা,নসীহৎনামা,সিহাবুদ্দিন নামা আব্দুল হাকীম

বদিউজ্জামান আলাওল,দোনাগাজী চৌধুরী

নবী বংশ, রসূল বিজয় সৈয়দ সুলতান

তোহফা (নীতি কাব্য) সপ্তপয়কর, পদ্মাবতী আলাওল


*রোমান্টিক ধারার শ্রেষ্ঠ কাব্যের নাম= পদ্মাবতী; চরিত্র=(পদ্মাবতী,নাগমতি,শুক পাখি,রাজা রতœসেন।)


মঙ্গল কাব্য

সূত্রপাত ঃ মঙ্গলকাব্য রচনার সূত্রপাত পঞ্চদশ শতকে।মঙ্গল শব্দের আভিধানিক অর্থ কল্যাণ। যে কাব্য পাঠ করলে কল্যাণ হয এবং সকল প্রকার অকল্যাণ দূও হয়।সেই কাব্যই মঙ্গল কাব্য। মঙ্গল কাব্যের 

কাব্য ধারা আদি কবি শ্রেষ্ঠ কবি চরিত্র

মনসা মঙ্গল কানাহরিদত্ত বিজয় গুপ্ত চাদ সওদাগর ,মনসা ,বেহুলা,সনাকা,নেতায় ধুপানী,লখিন্দ,

চন্ডী মঙ্গল (মঙ্গল কাব্যের উৎকৃষ্ট কাব্য মাানিক দত্ত কবি কঙ্কন,মুকুন্দরাম চকক্রবতী কালকেতু,ফুল্লরা,ভাড়–দত্ত,মুরারী শীল(ভন্ড),ধনপতি সওদাগর(লহনা,খুল্লুনা স্ত্রী)

ধর্ম মঙ্গল ময়ূর ভট্ট ঘনরাম চক্রবর্তী রাজা হরিশ চন্দ্র,লাউ সেন

অন্নদা মঙ্গল ভারতচনদ্্র রায় গুণাকর ইশ্বরী পাটনী, মান সিংহ, ভবা নন্দ

 প্রধান ধারা ৩টি= ১.মনসা মঙ্গল ২.চন্ডী ম ৩.অন্নদা ম। মঙ্গল কাব্যে খন্ড থাকে ৫টি= ১.বন্দনা ২.আতœ পরিচয় ৩.দেব খন্ড/র্স্বগ খন্ড ৪.নর খন্ড ৫.শ্রæতিফল/ফলশ্রæতি


*মনসা মঙ্গল ঃ মঙ্গল কাব্যের প্রথম ধারা মনসা মঙ্গল। মনসা সাপের দেবী শিবের কন্যা। মনসা মঙ্গল কাব্যের ধারায় কমপক্ষে ২২ জন কবির নাম পাওয়া যায়। উজানী নগরের সায়বেনের কন্যা= বেহুলা। বেহুলা লখিন্দের স্ত্রী মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিপ্রানা(স্বামী ভক্তি) চরিত্র=বেহুলা। চাদ সওদাগর ঃ মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র চাদ সওদাগর।নেতায় ধুপানী/স্বর্গের স্ত্রী। বিজয় গুপ্ত রচিত কাব্যের নাম=পদ্ম পুরাণ।

চন্ডী মঙল ঃ দেবী চন্ডি শিবের স্ত্রী। কালকেতুর স্বর্গীয় নাম নিলাম্বর।ফুল্লরার র্স্বগীয় নাম ছায়া।নিলাম্বও হলো স্বর্গেও রাজা ইন্দ্রের পুত্র। কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ছিলেন জমিদার রঘুনাথ রাযের সভা কবি। তার উপাধি কবি কঙ্কন । উপাধিটি দিয়েছেন রঘুনাথ রায়। 

*মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী নারী চরিত্র=ফুল্লরা। 

*মুরারী শীল= মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতারক পূর্ণ চরিত্র

*ভাড়–দত্ত= মধ্যযুগের সবচেয়ে ষড়যন্ত্রকারী চরিত্র

অন্নদা মঙ্গল ঃ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রাাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। কৃষ্ণচনদ্র কবিকে গুণাকর উপাধি দিয়েছেন। তার পারিবারিক উপাধি রায়। তিনি বাাংলা সাহত্যেও প্রথম নাগরিক কবি। ( নগর কেন্দ্রীক সাহিত্য লিখে নগরের মানুােষর জীবন। তার মৃত্যু ১৭৬০ সালে জন্ম ১৭১২ সালে। তিনি মধ্যযুগের শেষ স্বীকৃত কবি। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে( দেবি অন্নদাকে ইশ্বরী পাটনী বলোেছন। 

মর্সিয়া সাহিত্য ঃ মর্সিয়া আরবি শব্দ । যার অর্থ শোক / আহাযারি। মর্সিযা সাাহিত্যের পেক্ষাপট কারবালার যুদ্ধ। মর্সিয়া সাহিত্যের আদি কবি শেখ ফয়জুল্লাহ। তার কাব্যের  নাম জয়নবের চৌতিশা। দৌলত উজীর বাহরাম খা রচিত মর্সিয়া কাব্য জঙ্গনামা/মক্তুল হোসেন। জঙ্গনামা হলো যুদ্ধ কাব্য। মুহাম্মদ খান ও হায়াৎ মাহমুদ দু’জন পৃথকভাবে জঙ্গনামা কাব্য রচনা করে

লোক সাহিত্য ঃ লোক সাহিত্যেও প্রাচীন তম সৃষ্টি= ছড়া,প্রবাদ প্রবচন,ধাধা

*বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত লোক গীতিকা গুলি=১.নাথ গীতিকা ২.মযমংসিংহ গীতিকা ৩.র্পূব বঙ্গ গীতিকা

নাথ গীতিকা ঃ

নাথ শব্দের অর্থ প্রভু। নাথ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মিন্নাত/মৎসেন্দ্র নাথ। নাথ ধর্মের আদি পুরুষ শিব। তাই শিবকে আদি নাথ বলা হয।

*নাথ গীতিকার অঞ্চল=রংপুর. সংগ্রাহক- জর্জ গ্রীর্য়াসন। ১৮৭৮ সালে জর্জ গীর্য়াসনের সম্পাদনায় নাথ গীতিকা প্রকাশিত হয়। নাথ সাহিত্যের প্রধান কবি শেখ ফয়জুল্লাহ। তার কাব্যের নাম গূরক্ষ বিজয়। 

ময়মংসিংহ গীতিকা ঃ

*অঞ্চল=বৃহত্তর ময়মংসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনা।

*সংগ্রাহক =  চন্দ্র কুমার দে, জসীম উদ্দির, আােশাতোষ চৌং। পৃষ্ঠপোষকঃ আশোতোষ চৌং। প্রকাশকাল=১৯২৩। অনুদিত হয় ২৩ টি ভাষায়। সম্পাদক=ড . দীনেশ চন্দ্র সেন। 

এয়মংসিংহ গীতিকার পালাসমূহ ঃ

মলুয়া চন্দ্রাবতী

দস্যু কেনারাম চন্দ্রাবতী

কমলা দ্বিজ ঈশান

চন্দ্রাবতী ও জয়চন্দ্র নয়া চাদ ঘোষ

দেওযানা মদীনা মনসুর বয়াতী,(চরিত্র-আলাল,দোলাল)

এহুয়া দি¦জ কানাই

বিদ্যা সুন্দরী কবি কঙ্কন

*মহুয়া পালার চরিত্র= মহুয়া , নদের চাদ,হুমরাবেদে,পালং সই

র্পূব বঙ্গ গীতিকা ঃ

অঞ্চল ঃ পূর্ব ময়মংসিংহ(হবীগঞ্জ,সুনামগঞ্জ) নোয়াখালী, চট্টগ্রাম। সংগ্রাহক=চন্দ্রকুমার দে; পৃষ্ঠপোষক=আশোতোষ মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক=ড দ্বীনেশ চন্দ্র সেন। 


রাজা রামমোহন রায়। (১৭৭২-১৮৩৩)  তিনি সতীদাহ প্রতা রোধ করেন।

*একেশ্ববাদেও উপর ভিত্তি কওে ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন (১৮২৮ সালে) রাজা রামমোহন রায়। 

*সতীদাহ প্রথা প্রসঙ্গে রামমোহন রায়ের গ্রন্থ ১.গোস্বামীর সহিত বিচার ২.প্রর্বতক ও নিবর্তকের সম্বাদ

*তার গদ্য গ্রন্থ ঃ বেদান্তগ্রন্থ, বেদান্তসার ,প্রথ্য প্রদান,ভট্টাচার্যের বিচার, .গোস্বামীর সহিত বিচার, প্রর্বতক ও নিবর্তকের সম্বাদ। 

* ব্যাকরণগ্রন্থ= গৌড়ীয় ব্যাকরণ(১৮৩৩ সালে) এটি বাংলা ভাষার রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ/বাঙালি রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ


শ্রী রামপুর মিশন।ঃ

প্রতিষ্ঠাকাল=১৮০০ সাল। প্রতিষ্ঠাতা = উইলিয়াম কেরি,জন টমাস;

*প্রত্রিকা ঃ ১.বাাংলা সাহিত্যেও প্রথম পত্রিকা/মাসিক পত্রিকা। দিগ দর্শন (১৮১৮) ২.সমাচার র্দপন(১৮১৮া) সাপ্তাহিক পত্রিকা

*সম্পাদক  পত্রিকা দুটির সম্পাদক জন র্ক্লাক র্ম্যাশম্যান। 

*বাংলা মুদ্রণ যন্ত্রের জনক= চার্লস উইলকিন্স (এটির জন্য অনুরোধ করেছেন=পঞ্চানন কর্মকার) । তার নির্দেশে পঞ্চনন কর্মকার বাংলা মুদ্রক্ষর খুদাই করেছেন। 

*ছাপাখানার তত্বাবধায়ক= উইলিয়াম ওর্য়াড।

র্পোট উইলিয়াম কলেজ

প্রতিষ্ঠাকাল=১৮০০ সালে। প্রতিষ্ঠাতা= লর্ড ওয়েলেসলি। ১৮০১ সালে বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা বিভাগের প্রধান এবং কলেজের প্রিন্সিপাল উইলিয়াম কেরি। পোর্ট উইলিযাম করেজের র্স্বণযোগ (১৮০১-১৮১৫) । এ সময় ৮ জন রচিত ১৩ টি গদ্যগ্রন্থ পাওয় যায়। 

*রাম রাম বসু ঃ তিনি বাংলা সাহিত্যেও প্রথম গদ্য গ্রন্থ রচয়িতা, তাকে কেরি সাহেবের মুন্সি বলা হয়। তার গ্রন্থ গুলোা হলো =

১.রাজাা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০১) এটি বাংলা সাাহিত্যের ১ম গদ্য গ্রন্থ। ২.লিপি মালা (১৮০২)

*উইলিয়াম কেরি ঃ তার  নিকট বাংলা ভাষা ঋণি হয়ে আছে। তার গ্রন্থ গুলো হলো= 

১.কথোপোকতন (১৮০১) বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ। ২.ইতিহাস মালা (১৮১২) বাংলা ভাষার প্রথম গল্প সংগ্রহ

৩ ইংরেজি ভাষায় বাঙলা ব্যাকরণ  ধ মৎধসসধৎ ড়ভ ইবহমধষর ষধহমঁধমব(১৮০১) রচনা / ব্যাকরণ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।

*তোতা ইতিহাস= চন্ডী চরণ মুন্সি। 

*মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যা লঙ্কার ঃ তিনি উইলিয়াম কলেজের শ্রেষ্ঠ পন্ডিত ছিলেন। তার গ্রন্থ গুলো হলো=

১.বত্রিশ সিংহাসন ২.হিতোউপদেশ ৩.রাজাবলি (বাংলা ভাষায লিখা প্রথম ইতিহাস) ৪.প্রবোধ চন্দ্রিকা


হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল 

প্রতিষ্ঠা হয= ১৮১৭ সালে। নাম পরির্বতন হয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ হয় ১৮৫৫ সালে।  ইংরেজী ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবকদেরকে ইয়ংবেঙ্গল বলে।  ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের প্রবক্তা = হেনরি লুই ভিভিয়ান ডি রোজিও। তার বাঙালি শিষ্যরাই মূলত ইয়ংবেঙ্গল নামে পরিচিত। তিনি হিন্দু কলেজের শিক্ষক ছিলেন। 

*হিন্দু কলেজে মূলত মধ্যবিত্ত সমাজের সন্তানেরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে সুযোগ লাভ হয । 

* ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর মুখপাত্র= এনকোয়েরার, জ্ঞানান্বেষণ। ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী প্রকাশ্যে আতœপ্রকাশ করে=১৮৩১ সালে

*মাইকেল মধুসূদন দত্ত ডি রোজিওর ভাব শিষ্য ছিলেন

*ডি রোজিওর সম্পাদিত পত্রিকা= হেস পারাস ইস্ট ইন্ডিয়ান


ইশ্বর চন্দ্র গুপ্ত

ছন্দনাম =ভ্রমণকারী বন্ধু

*তিনি আধুনিক বাঙলা সাাহিত্যের প্রথম কবি।  তাকে যুগ সন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়। তাকে বাংলা সাহিত্যের জেনাস ও বলা হয়। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো= 

! ১.সংবাদ প্রভাকর(১৮৩১ সালে সাপ্তাহিক এবং ১৮৩৯ সালে দৈনিক প্রত্রিকা। এটি বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক পত্রিকা। 

২.সংবাদ সাধু রঞ্জন ৩.সংবাদ রতœাবলি ৪.পাষুন্ড পিড়ন

*তার গুরুত্বপূর্ণ উক্তি= আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয় লোকে..(বড় কে কাব্য থেকে); শতেক বিধাব হয় একের মরণে(কৌলিণ্য)

বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গুপ্ত সম্পর্কে বলেন= এতবড় প্রতিভা ইয়ার্কিতে ফুরাইল।

গুপ্তের কবিতাগুলো হলো= পাঠা,পিঠা, পায়েস,আনারস,তপসে মাছ,স্বদেশ,ভাষা,কে,বড় কে,মানুষ কে,বিধাব বিবাহ আইন,বাঙ্গালি মেয়ে

যুগসন্ধিক্ষাল=(১৭৬১-১৮৬০)


Tags

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!